দুর্নীতির অনুসন্ধানে ‘কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে এলো সাপ’

ই-বার্তা।।  সম্প্রতি দুর্নীতির বিষয়ে হামদর্দ কতৃপক্ষকে দুদক ও ধর্মমন্ত্রনালয়ে তলব করার খবর বিভিন্ন সময় পত্র-পত্রিকায় আসলেও আড়ালেই থেকে গেছে অনেক অজানা তথ্য। যার নেপথ্যে রয়েছেন হামদার্দের পরিচালক কাজী মনসুর উল হক।

কাজী মনসুর উল হকের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ আবারো চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। অনুসন্ধানের মধ্যেমে বেরিয়ে এসেছে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ।

দূর্নীতি আর অপকর্মের এই মহানয়ক চাকুরীর আড়ালেই খুলে বসেছেন তার রমরমা ব্যবসা। রিফলেক্ট মিডিয়া নামের কাজী মনসুরের ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কে ব্যবহার করে বিজ্ঞাপনের নামে ভূয়া বিল করে হামদার্দ থেকে কোটি কোটি আত্মসাৎ করেছে। যে অর্থ দিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন রিফলেক্ট গ্রুপ, যার চেয়ারম্যান কাজী মনসুর উল হক নিজেই।

হামদার্দে কর্মরত থাকার পরেও কাজী মনসুর রিফলেক্ট মিডিয়া কনসালটেন্স লিমিটেডের মাধ্যমে সব ধরনের অবৈধ ও অপকর্ম কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। এই প্রতিষ্ঠান ছাড়াও তার আছে রিফলেক্ট প্রোফাউন্ড, রিফলেক্ট মিডিয়া সেন্টার, রিফলেক্ট পাওয়ার সলিউশন, রিফলেক্ট ভয়েস লিমিটেড।

এই দূর্ণীতিবাজ কাজী মনসুর উল হক এক সময় ইষ্টার্ণ হাসপাতালের এমডি ছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে অনিয়ম ও দূর্নীতির দায়ে বহিষ্কার করা হয় তাকে। সে সময় কাজী মনসুরের মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন সাবেক দুদক কমর্কতা মেজর ইকবার মাহমুদ চৌধুরী। যার অনুসন্ধানী তদন্তের কারণেই কাজী মনসুরের ব্যপক দূর্ণীতি ও অনিয়মের মুখোশ উন্মোচিত হয়।
এছাড়াও সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসে কাজী মনসুরের নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনা। যে কারণে ২০১৭ সালে তার নামে ধর্ষনের মামলাও হয়।

হামদার্দের পরিচালক তথ্য ও গণসংযোগ কাজী মনসুর উল হক বর্তমানে কোটি টাকার মালিক। রাজধানীর কলাবাগানে তার রয়েছে নিজেস্ব বাড়ি, ধানমন্ডিতে আছে প্রাইভেট হাসপাতালসহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে নিজ মালিকানায় দোকানও রয়েছে তার।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ হামদার্দ থেকে হাতিয়ে নেয়া কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে গড়ে তুলেছেন তার বিশাল সম্রাজ্য। মালোয়াশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ব্যাংককেও তার ব্যবসা আছে বলে জানা যায়। এই সব দেশে প্রতিনিয়তই সে ভ্রমণ করে থাকেন। এত কিছুর পরেও হামদার্দ প্রশাসন কেন মনসুর উল হকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না সেটাই নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্ন।