হাল ছেঁড়ে দিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ

ই- বার্তা ডেস্ক  ।।   সিরাজপুরে সংবাদ সম্মেলনে  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নোয়াখালী-৫ আসনের প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ভোটের মাঠে আমার জীবনের নিরাপত্তা নেই তাই বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনী গণসংযোগ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলাম।এ বিষয়ে আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে জানাব। তারা যদি আমার এবং আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেন তাহলে গণসংযোগে নামব। এ শোমোয় তিনি আরও মন্তব্য করেছেন তাকে যদি নিরপত্তার নিশ্চয়তা দিতে না পারে তবে তিনি গণসংযোগে অংশ নেবেন না।

 

 

গতকাল সোমবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে মওদুদ বলেন, আর্মি অফিসারদের বলেছি, আপনাদের কাছে অনুরোধ, ভোটারদের মনে যে ভয়ভীতি শঙ্কা রয়েছে এটা আপনারা দূর করার চেষ্টা করুন।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, চরকাঁকড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন বাহার, নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান মো. নোমান, যুবদল নেতা মেহেদী হাসান টিপু প্রমুখ।

 

সংবাদ সম্মেলনে মওদুদ বলেন, গত ১০ দিনে আমার নির্বাচনী এলাকার ৩শ’ নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। ৮টি গায়েবি মামলায় ৪শ’ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ছাত্রদলের সভাপতি, সেক্রেটারি, যুবদলের সভাপতি, সেক্রেটারি, পৌরসভা বিএনপির সভাপতি সবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার আমার গাড়ি ভাংচুরের পর পুলিশ রামপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা নাইমুল হক কাটার ও মুছাপুর ইউনিয়নের বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশকে বলে গণসংযোগে বের হয়েছি। চরকাঁকড়া ইউনিয়নের নতুনবাজারে যাওয়ার পর ওবায়দুল কাদেরের ক্যাডাররা আমাদের ওপর আক্রমণ চালায়। অল্প থেকেই বেঁচে গেছি। আমার ৫ জন কর্মীকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। রোববার ও আমি বাটইয়া ইউনিয়নে জনসভা করতে পারিনি।

 

 

বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এই নেতা অভিযোগ করেন নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত তার দুটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। মওদুদ বলেন, হামলার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। আমি এখানকার সেনা কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসারকেও বিষয়টি জানিয়েছি। নোয়াখালী জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল মুনির হোসেনকেও জানিয়েছি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলা ও বয়স্ক পুরুষদের ভয় দেখানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে- আপনাদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়া লাগবে না। গেলে আপনার ছেলের লাশ পাবেন। 

 

 

 

ই-বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম