‘হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান নয়, অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো হবে’

ই- বার্তা ডেস্ক।।   লোকসভা নির্বাচনের আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন। এবার কলকাতায় এসে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ বললেন, পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) হবে। তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, শিখ কিংবা জৈন নয়, তাড়ানো হবে অনুপ্রবেশকারীদের।

তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী প্রত্যেককে নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য বিল পাস করাতে চলেছে সরকার। কিন্তু এরা বাদে একজন অনুপ্রবেশকারীকেও ভারতে থাকতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মঙ্গলবারের  কলকাতায় জনসভায় পুনরায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) নিয়ে সেই একই অবস্থানের কথা জানালেন বিজেপি সভাপতি। তবে এ বার আরও জোরালোভাবে কট্টর হিন্দুত্ববাদের বার্তা দিয়ে গেলেন তিনি। হুঁশিয়ার করেছেন তৃণমূলদলীয় মুখমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কেও।

অমিত শাহ বলেন, ‘মমতাজি বলছেন এনআরসি হলে নাকি লাখ লাখ হিন্দু শরণার্থীকে বাংলা ছেড়ে যেতে হবে। এর চেয়ে বড় কোনো মিথ্যা হয় না। আমি সবার সামনে সব হিন্দু শরণার্থীকে আশ্বস্ত করে বলতে চাই যারা এ দেশে এসেছেন, আপনাদের কাউকে ভারত ছাড়তে হবে না।’

বিজেপির সর্বভারতীয় সভপতি আরও বলেন, ‘এনআরসির আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনছে ভারত সরকার। ভারতে যত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিষ্টান এসেছেন তাদের সবাইকে চিরকালের জন্য নাগরিকত্ব দেয়া হবে। তবে তাড়ানো হবে অনুপ্রবেশকারীদের। তাদের পশ্চিমবঙ্গে ঠাঁই দেয়া হবে না।’

সম্পতি প্রকাশিত অসামের চুড়ান্ত নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়ে সেখানকার ১৯ লাখ বাসিন্দার নাম। বিজেপি ঘোষণা দিয়ে আসছে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবে। কিন্তু মুখমন্ত্রী মমতা এনআরসি হতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন। তারই প্রেক্ষিতে কলকাতায় এসে এমন ঘোষণা দিলেন অমিত শাহ।

তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে এমন হিন্দুত্ববাদী প্রচারণা বিজেপির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বড় সাফল্যের নেপথ্যে ছিল মোদি ও অমিত শাহ’র হিন্দুত্ববাদী প্রচারণা।