হিন্দু সেলিব্রিটিদের বিয়ে করেছেন যেসব মুসলিম সুন্দরী

ই-বার্তা ।।  বলিউডে তারকাদের প্রেম, বিয়ে, ব্যক্তিগত জীবন, পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়ে থাকে। তবে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে এমন কয়েকজন সেলিব্রিটি আছেন যারা inter caste marriage করেছেন। অর্থাৎ, যারা বিয়ে করার সময় কোনো জাতি ধর্ম দেখেননি। ভারতে inter caste marriage কে এখনো ভালো চোখে দেখা হয় না। তার মধ্যে যদি হিন্দু-মুসলিমের বিবাহের কথা আসে তাহলে ব্যাপারটা আরও জটিল হয়ে যায়। তবে এ সব কিছু উপেক্ষা করে বলিউডে এমন অনেক সেলিব্রিটি আছেন যারা মুসলিম হয়ে হিন্দু অভিনেতাকে বিয়ে করেছেন। তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই সেই দম্পতিগুলো সম্পর্কে। 

১. মনোজ বাজপেয়ি-শাবানা রাজ
বলিউডের খুব জনপ্রিয় অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ি অভিনেত্রী শাবানা রাজকে ২০০৩ সালে বিয়ে করেন। তারা কোনোদিন নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনকে ক্যামেরার সামনে আসতে দেননি। তারা একে অপরের সাথে পাঁচ বছর ধরে প্রেম করেন, কিন্তু তার খবর কেউ পায়নি আগে।

২. অতুল অগ্নিহোত্রী-আলবিরা খান
প্রযোজক পরিচালক-অভিনেতা অতুল অগ্নিহোত্রী এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক, ফ্যাশন ডিজাইনার আলবিরার প্রেমের গল্প বন্ধুত্ব থেকেই শুরু হয়। কথা বলতে বলতেই এনাদের মধ্যে প্রেম হয়ে যায়। পরে তারা একে অপরের সাথেই বিয়ে করেন।  প্রসঙ্গত, আলবিরা সুপারস্টার সালমান খানের বোন।

৩. সঞ্জয় দত্ত-দিলনাওয়াজ শেখ
মান্যতার আগের নাম দিলনাওয়াজ শেখ ছিল। সঞ্জয় দত্ত নিজের বাবার মতই একজন মুসলিমের প্রেমে পড়েছিলেন। মান্যতা সঞ্জয়ের থেকে কুড়ি বছরের ছোট। ২০০৮ এ তারা একে অপরের সাথে বিবাহ বন্ধনে জরিত হন।

৪. আদিত্য পাঞ্চোলি-জরিনা বহাব
আদিত্য পাঞ্চোলি এবং জারিনার ভালোবাসা শুরু হয় ১৯৮৬ সালের ‘কালং কাছে টিকা’ নামের সিনেমা থেকে। তারা তাড়াতাড়ি বিয়ে করেও নেন। পাঞ্চোলির নাম প্রায়ই কোনও মডেল বা অভিনেত্রীর সাথে জড়িত থাকতে দেখা গেছে, কিন্তু জরিনা কোনদিনই তাদের বিবাহ সম্পর্কে সেগুলোর আগুন আসতে দেয়নি। ২০১৫ তে এনাদের বিবাহ বিচ্ছেদের কথা মিডিয়াতে এসেছিল, কিন্তু জারিনা নিজের সম্পর্ককে খুব দৃঢ় ভাবে ধরে রেখেছেন।

৫. সুনীল শেট্টি-মানা শেট্টি
সুনীল শেট্টি এবং মানা শেট্টির লাভ স্টোরি খুব রোমাঞ্চকর। একটি পার্টিতে তাদের আলাপ হয়। কিন্তু তাদের প্রথম নজরেই একে অপরের প্রতি ভালোবাসা হয়নি। এই ভালোবাসা দিনের পর দিন বন্ধুত্বের সাথে বেড়েছে। কিন্তু এরা কোনোদিনই ধর্মকে নিজেদের মাঝে আসতে দেয়নি। তবে তাদের অভিভাবকদের মন জয় করতে ৯ বছর লেগেছিল।

৬. ফারাহ খান-শিরীষ কুন্দর
ফারাহ আর শিরীষের প্রেমের গল্প তো মে হুনা চলাকালীন শুরু হয়েছিল। এরা একে অপরের সাথে প্রেম করছেন এই খবরটি কোনদিনই জানা যায়নি। কিন্তু সবাই তখন অবাক হয়ে গিয়েছিল যখন তারা নিজেদের বিয়ের ঘোষণা সবার সামনে করেন।

৭. দিয়া মির্জা-সাহিল সংঘা
বলিউডের মিষ্টি অভিনেত্রী দিয়া মির্জা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা সাহিল সংঘা অক্টোবর ২০১৪ সালে বিয়ে করেছিলেন। এমনিতেই সাহিল দিয়াকে ২০০৯ থেকেই জানত। কিন্তু ২০১৪ সালে তিনি দিয়াকে প্রপোজ করেন। এই প্রপোজালটাও খুব মজাদার ছিল। সাহিল নিউ ইয়র্কের ব্রিজে নিজের হাঁটু গেড়ে বসে দিয়া কে প্রপোজ করেছিল। আর দিয়া যখন বিয়ের জন্য হ্যাঁ বলেছিল তখন সেখানকার আশপাশের সমস্ত পর্যটকরা করতালি বাজিয়েছিল।

৮. বহীদা রহমান-কমলজিৎ সিং
অভিনেতা কলমজিৎ সবুজ সিনেমা চলাকালীন বহীদা রহমানের প্রেমে পড়ে যান কিন্তু তখন বহীদা গুরু দত্ত কে ভালোবাসতেন। যাইহোক, সিনেমার ১০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর তারা একে অপরের সাথে বিয়ে করেন।

৯. নার্গিস-সুনীল দত্ত
নার্গিস-সুনীল দত্তর গল্পটা পুরোপুরি ভিন্ন। ‘মাদার ইন্ডিয়া’র মতন সিনেমায় মা এর রোলে নার্গিস এবং ছেলের রোলে সুনীল দত্ত অভিনয় করেছিলেন। তা সত্বেও তারা একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হন। আসলে এই সিনেমার শ্যুটিং চলাকালীন একটি বীভৎস আগুনে সুনীল দত্ত নার্গিসকে বাঁচিছিলেন এবং তার ফলে এনাদের একে অপরের মন এক হয়ে যায়। আর তারা বিয়েও করেন কিন্তু এই বিয়েকে সমাজ অনেক পরে স্বীকার করেছিল।

১০. রাজ বব্বর-নাদিরা বব্বর
রাজ এবং নাদিরারো লাভ ম্যারেজ ছিল। কিন্তু বিয়ের পরও এনাদের জীবনে অনেক ওঠাপড়া এসেছিল। রাজ এবং নাদিরা থিয়েটারের সময় থেকে একে অপরকে ভালোবাসতো এবং তারা বিয়েও করে নিয়েছিল। কিন্তু রাজ সিনেমায় নামার পর একজন সফল অভিনেতা হওয়ার পর স্মিতা পাটেলের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং তাকে বিয়ে করেন। এতে নাদিরা খুবই দুঃখিত হয়েছিল কিন্তু তা সত্বেও তিনি তার স্বামীকে ছাড়েননি। স্মিতা তাঁর প্রথম ছেলে প্রতীক বব্বরকে জন্ম দেয়ার পরই মারা যান, পরে রাজ তার প্রথম স্ত্রীর কাছে ফিরে যায়।