‘হুমকি দিলে উচ্ছেদের গতি দ্বিগুণ হবে’

ই-বার্তা ডেস্ক।।  নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বন্ধের জন্য হুমকি দিলে উচ্ছেদের কাজ দ্বিগুণ গতিতে চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।  চট্টগ্রামে কর্ণফুলি নদীর দুই পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরুর পর অভিযান পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেটদের ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

ভূমিমন্ত্রী শনিবার বিকালে কর্ণফুলী নদী তীর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিদর্শন করতে গেলে এই বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা।  তখন ভূমিমন্ত্রী বলেন, “হুমকি দিয়ে কেউ পার পাবে না।  তারা কাকে হুমকি দিচ্ছে, কে হুমকি দিচ্ছে? আমাদের সিকিউরিটি আগের চেয়ে অনেক বেশি স্ট্রং।  অভিযান নিয়ে হুমকি দিলে কাজের গতি দ্বিগুণ হবে।”

উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত সোমবার থেকে কর্ণফুলীর দুই তীরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

মন্ত্রী বলেন, “পর্যায়ক্রমে অন্যান্য এলাকাতেও অভিযান চলবে।  কোনো এলাকায় অবৈধ স্থাপনা থাকবে না।  উদ্ধার করা জায়গায় দৃষ্টিনন্দন কিছু করা হবে।  অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে শুধু নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়নি, ওই এলাকার পাঁচটি খালের মুখ ওপেন করা গেছে।  এতে করে নগরীর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো হবে এবং নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সহায়কও হবে।  এ নদী বাঁচলে চট্টগ্রাম বাঁচবে।  এটিকে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে সবাইকে।”

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কর্ণফুলি নদী সুন্দর হওয়ার পাশাপাশি বড় বড় কার্গো জাহাজ নদীতে আসতে পারবে।  আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পতেঙ্গা এলাকার মোহনা থেকে কালুরঘাট সেতু পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকায় কর্ণফুলির দুই তীর থেকে দুই হাজার ১১২টি স্থাপনা উচ্ছেদ করার কথা রয়েছে জেলা প্রশাসনের।

কর্ণফুলি শিপ বিল্ডার্সের মালিকানাধীন একটি ভবন পুরোপুরি অপসারণ না হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, “এটি মাছের কোল্ড স্টোরেজ বলে আমরা জেনেছি।  এতে কয়েক হাজার টন মাছ রাখা হয়।  অভিযান চালাতে গেলে প্রচুর সম্পদ যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে আমরা নজর দিচ্ছি।  তাদের সাথে আলাপ করে সময় দিয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হবে।  কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকতে পারবে না, চলে যাবে।”

ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু