১১৭ দিন পর মাঠে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

ক্রিকেটের বিজয়ের গল্প বলতে আজ থেকে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনের ‘দ্য রোজ বোল’ স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজের প্রথম টেস্ট। বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা থেকে শুরু হবে দিনের খেলা। তিন টেস্ট সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ম্যানচেস্টারে।

কাগজ কলমের হিসেব বলছে, এই সিরিজে সাম্প্রতিক ফরমের কারণে ইংল্যান্ড এগিয়ে থাকবে। দেশের মাটিতে ইদানিং অপরাজেয় এক শক্তিতে পরিণত হয়েছে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে অ্যাশেজ রেখে দিতে পেরেছে তারা। এরপর নিউজিল্যান্ডে গিয়ে খারাপ করলেও দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে সিরিজ জিতে এসেছে। ফলে এই দলটির পক্ষে বাজি ধরাই সহজ।

ইংল্যান্ডের নিয়মিত অধিনায়ক জো রুট প্রথম টেস্টে থাকতে পারছেন না; সন্তান সম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকবেন তিনি। ফলে এই টেস্টে ইংল্যান্ডের নেতৃত্ব দেবেন বেন স্টোকস।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবশ্য একেবারে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে সর্বশেষ সফর করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারে ক্যারিবীয়রা। তবে ঐ সিরিজে ক্যারিবিয়ানরা মনে রাখার মতো পারফরম করেছিল হেডিংলিতে। হেডিংলিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ৩২২ রানের টার্গেট শেষদিনের শেষ সেশনে স্পর্শ করে ম্যাচ জিতেছিল জেসন হোল্ডারের দল। শাই হোপের অপরাজিত ১১৮ রানের ওপর ভর করে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-১ সমতা আনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর ঐ টেস্টের স্মৃতিই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চলতি সফরে আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে মনে করছেন দলের কোচ ফিল সিমন্স।

এই সিরিজকে অনেকে মনে করছেন, এটা হতে যাচ্ছে জোফরা আর্চারের সিরিজ। ক্যারিবীয় আর্চার ইংল্যান্ডের হয়ে ইতিমধ্যে নিজেকে প্রমাণ করে ফেলেছেন। এবার মাতৃভূমির দলের বিপক্ষে খেলার পালা। তবে এসব ক্রিকেটীয় ব্যাপার। খেলা শুরুর আগে অন্তত খুব পাত্তা পাচ্ছে না। আলোচনায় মূলত করোনার আতঙ্ককে সরিয়ে মাঠে নামতে পারার ব্যাপারটা।

সর্বশেষ পৃথিবীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়েছিল ফেব্রুয়ারির শেষ দিনটাতে। এরপর চার মাস সাত দিন পর এসে আবার ক্রিকেটের দেখা মিলবে। এর মধ্যে অন্তত পাঁচটি টেস্ট সিরিজ বাতিল হয়েছে করোনার জন্য। করোনার আতঙ্ককে এখনো পৃথিবী জয় করতে পারেনি। অনেক দেশেই এখনো সংক্রমণের তুঙ্গ অবস্থা চলছে। তাই দর্শকহীন মাঠেই হবে এই টেস্ট। বলা যায়, এই টেস্ট দিয়ে শুরু হলো ক্রিকেটের নিউ নরম্যাল!

নতুন যা দেখা যাবে

কোভিড-১৯ বদলি : কোনো খেলোয়াড়ের খেলা চলাকালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা গেলে দলটি তার বদলি খেলোয়াড় নামাতে পারবে।

লালা নিষিদ্ধ: বল চকচকে করার জন্য মুখ থেকে লালা নিয়ে আর বলে ব্যবহার করা যাবে না।

দেশী আম্পায়ার : টেস্টে আর নিরপেক্ষ আম্পায়ার বাধ্যতামূলক নয়।

বাড়তি ডিআরএস : আম্পায়ারদের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় দলগুলোকে টেস্টে তিনটি রিভিউ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।

বাড়তি লোগো : আগামী ১২ মাস দলগুলো চাইলে জার্সির কলারে কোনো লোগো বা স্লোগান ব্যবহার করতে পারবে।