১৯৭১ এর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ

ই-বার্তা ডেস্ক ।।   ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে বাংলাদেশিদের গণহত্যার শিকারকে  আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। রবিবার (২৫ মার্চ) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ শাহরিয়ার আলম নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের গণহত্যার জাতিসংঘের স্বীকৃতি।’

মোহাম্মাদ শাহরিয়ার আলমবলেন, “আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বলতে অনেকের ধারণা ছিল জাতিসংঘের স্বীকৃতি। বিষয়টি তার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কারণ, জাতিসংঘ ৯ ডিসেম্বরকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। আমরা ন্যূনতম যেটি চাই, সেটি হলো পৃথিবীর যতটা সম্ভব বেশি রাষ্ট্র এই বিষয়টির স্বীকৃতি দেবে, এর সঙ্গে সহমর্মিতা জানাবে, নিন্দা জানাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৭ সালের মার্চে সংসদে বিষয়টি আসার পর থেকেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রাধিকারে এটি আছে। গত দুই বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী যেসব দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় বৈঠক করেছেন, সেখানে এটি তুলেছেন। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়েছি।’

এ বিষয়ে অগ্রগতি কতটা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এমন করিনি যে ১৯৬টি রাষ্ট্র বা জাতিসংঘের সদস্য দেশকে এটা বলেছি। তবে টিক দেওয়ার তালিকায় অনেক রাষ্ট্রই এসেছে।’

কূটনীতিকদের ব্যর্থতায় গণহত্যার স্বীকৃতি আসেনি, এমন অভিযোগের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, ‘সবাইকে নিয়ম-কানুন জানতে হবে। এটা তো একটা নতুন যাত্রা।’

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘হয়তো সময় আসবে, আমরা জাতিসংঘে একটা নতুন প্রস্তাব উত্থাপন করার চেষ্টা করতে পারি। এটা পাস হবে কি হবে না, সেটা আপনারা ভালোভাবে মূল্যায়ন করতে পারেন। এছাড়াও জাতিসংঘের বিশেষ দূত আদামা দিয়েংয়ের উপস্থিতি অনেক কিছু বলে দেয়।’

এছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালের ইতিহাসের বিপরীত দিকে ছিলেন অনেক শক্তিধর রাষ্ট্র। ইতিবাচক দিক হচ্ছে, সেই রাষ্ট্রগুলো আমাদের সঙ্গে বৈঠকে স্বীকার করে নেয়, তারা ভুল পক্ষ নিয়েছিল ইতিহাসের।’ জট খুলতে বা প্রকাশ্যে আনতে সময় লাগবে। তবে বাংলাদেশ সঠিক পথেই আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ই-বার্তা / শাহাদাত ছৈয়াল