২২২ রানে অলআউট শ্রীলংকা

ই- বার্তা।।  ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন উইকেট নেওয়ার প্রতিযোগিতা করছেন দুই স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক ও তাইজুল ইসলাম। প্রথম ৭টি উইকেট নিয়েছেন তারা ভাগাভাগি করে। তবে দুই স্পিনারের দিনে চা বিরতির আগে ও পরে ২ রানের ব্যবধানে একটি করে উইকেট পেলেন মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর নিজের চতুর্থ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ২২২ রানে অলআউট করেছেন তাইজুল। সফরকারীদের প্রথম ইনিংস ছিল ৬৫.৩ ওভারের।

চার বছর পর ফিরে ঢাকা টেস্টের প্রথম উইকেট নেন রাজ্জাক। ১৪ রানে প্রথম উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের আভাস দেন তিনি। নিজের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে দিমুথ করুনারত্নেকে স্টাম্পিং করে ফেরান বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ স্পিনার। তার বল ক্রিজের বাইরে আসা শ্রীলঙ্কার ওপেনারের দুই পায়ের মধ্যে দিয়ে চলে যায় লিটন দাসের হাতে। বাংলাদেশি উইকেটরক্ষক সহজেই স্টাম্প উপড়ে ফেলেন। কিন্তু ক্রিজে নেমে আবারও স্বাগতিকদের অস্বস্তিতে ফেলেন কুশল মেন্ডিস ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। অবশ্য চট্টগ্রাম টেস্টের এই বিপজ্জনক জুটি বেশি দূর যেতে পারেনি মিরপুরে। ধনঞ্জয়াকে ১৯ রানে স্লিপে সাব্বির রহমানের ক্যাচ বানান তাইজুল। তাদের জুটিটা ছিল ৪৭ রানের।

দানুশকা গুনাথিলাকাকে নিয়ে কুশল আরেকটি প্রতিরোধ গড়েছিলেন। রাজ্জাক সেটা ভেঙে দেন তার ষষ্ঠ ওভারে। বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের শীর্ষ উইকেট শিকারি প্রথম সেশন শেষ হওয়ার আগে জোড়া আঘাত করেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইন আপে। প্রথম দুই বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ পান এ স্পিনার। ২৬ বলে ১৩ রান করে মুশফিকের কাছে ক্যাচ দেন গুনাথিলাকা। ভাঙে ৩৫ রানের জুটি। মাঠে নেমে প্রথম বলেই দিনেশ চান্ডিমাল বোল্ড। রাজ্জাকের বল বুঝে ওঠার আগেই তার স্টাম্প ভেঙে দেয়। বাংলাদেশি স্পিনার হ্যাটট্রিকের সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি রোশেন সিলভা বল ঠেকিয়ে দিলে।

দ্বিতীয় সেশনেও দারুণ শুরু হয় স্বাগতিকদের। ৮১ বলে পঞ্চম ফিফটি করা কুশল থামেন লাঞ্চের পরপরই। প্রথম সেশনে তিন উইকেট নেওয়ার পর রাজ্জাক দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ওভারেই ফেরান তাকে। ৬৮ রানে বোল্ড হন শ্রীলঙ্কার ওপেনার। এক ইনিংসে প্রথমবার ৪ উইকেট পান রাজ্জাক। পরের ওভারেই মাত্র তিন বল খেলে তাইজুলের দ্বিতীয় শিকার হন নিরোশান ডিকবেলা (১)।

১১০ রানে শ্রীলঙ্কা তাদের ৬ উইকেট হারালে দিলরুয়ানকে নিয়ে রোশেন ৫২ রানের জুটি গড়েন, সেটা ভেঙে দেন তাইজুল। ১৮ রানে মোস্তাফিজুরের ওভারে জীবন পাওয়া দিলরুয়ানকে ৩১ রানে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেটটি নেন এই স্পিনার। চা বিরতিতে যাওয়ার আগে আঘাত হানেন মোস্তাফিজ, তার নবম ওভারের প্রথম বলে আকিলা ধনঞ্জয়াকে (২০) মুশফিকের ক্যাচ বানান।

বাঁহাতি এই পেসার শেষ সেশনের দ্বিতীয় ওভারে রঙ্গনা হেরাথকে মাত্র ২ রানে ফেরান, এবারও ক্যাচ ধরেন মুশফিক। বাংলাদেশি বোলারদের সামনে সবচেয়ে লম্বা সময় ধরে প্রতিরোধ গড়া রোশেন ফিরলে শেষ হয় লঙ্কানদের ইনিংস। ১২৪ বল খেলেছেন তিনি, ৫৬ রান করে তাইজুলের বলে লিটনের ক্যাচ হন।

রাজ্জাক ও তাইজুল চারটি করে উইকেট নেন। ১৬ ওভারে ২ মেডেনসহ ৬৩ রান দেন রাজ্জাক, আর তাইজুল ২৫.৩ ওভারে দেন ৮৩ রান।

 

ই- বার্তা/ এ এস