২৩ পদেই পুননির্বাচন চায় নুরু

ই-বার্তা ডেস্ক ।। তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ভোট হলে ছাত্রলীগের একটি সদস্যও জয় পেতেন না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রত্যাখ্যান করতেন। সুফিয়া কামাল, মৈত্রী ও শামসুন্নাহারসহ বিভিন্ন হলে স্বতন্ত্ররা পাস করে সেই বার্তাই দিয়েছেন।’

এ সময় নুর বলেন, ‘প্রশাসনের নীলনকশার নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠন যত ধরনের কারচুপি ও অনিয়ম করা যায় তার সবটুকুই করেছে। তবে কারচুপি করে আমাকে হয়তো আটকাতে পারেনি, তবে অন্যদের আটকানো হয়েছে।’

নুর বলেন, ডাকসু নির্বাচনের সময় যারা সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে। ছাত্রলীগ একটা গুজবের সংগঠন। তারা সব সময় শুধু গুজব ছড়ায়।

ভিপি নুর অভিযোগ করেন, ‘রোকেয়া হলে দুর্নীতি ও অনিয়ম ধরতে গিয়ে আমি ছাত্রলীগের লেডি সদস্যদের হাতে নিগৃহীত হয়েছি। এসময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও হামলায় অংশ নেন। আজও ক্যাম্পাসে প্রবেশ ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছি।’

তিনি প্রশাসন ও ছাত্রলীগকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘অগ্নিস্ফুলিঙ্গ নিয়ে খেলবেন না, পুড়ে ছারখার হয়ে যাবেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিন।’
ডাকসু ভিপি বলেন, ‘নির্বাচন ব্যাহত করার যে প্রচেষ্টা করা হয়েছে, বিভিন্ন হলে ব্যালট উদ্ধার করে তা দেখিয়েছি। প্রশাসন তারপরও ব্যবস্থা নেয়নি। আমাদের দাবি থাকবে, প্রশাসন যেন এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমাদের প্রতিহত করতে মামলা করা হয়েছে। ছাত্রলীগ গুজব বাহিনী মামলা করেছে, আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সহযোগিতা করেছে।’

এর আগে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলার মুখে পড়েন নুর। দুপুর সোয়া ১টার দিকে নুরুল হক নুরকে নিয়ে মিছিল বের হয়। মিছিলটি শাহবাগ দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে মধুর ক্যান্টিন হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির গেট দিয়ে বের হয়ে টিএসসির দিকে যায়। টিএসটির বাইরে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলার চেষ্টা করেন নুরসহ তার সঙ্গীরা। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের ধাওয়া দিয়ে টিএসসির ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে অবস্থানরত ছাত্রদল কর্মীরা ছাত্রলীগকে পাল্টা ধাওয়া দেয়।

ই-বার্তা /  তামান্না আলী প্রিয়া