৪১ বছর বয়সেও কিশোরী

ই-বার্তা ডেস্ক ।।  ব্রিটেনের ৪১ বছর বয়সী এক ‘মা’ ভীষণ বিপদে পড়েছেন। ওই মায়ের নাম সিমি মুনসি। তার ছেলে আমিন এর বয়স ২০ বছর।

 

সিমি মুনসির সমস্যা হলো- ছেলের সাথে তোলা কোনো ছবি তিনি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট করতে পারেন না। কারণ হচ্ছে, পুত্র আমিনের সঙ্গে তার (মা-ছেলে) সম্পর্ক নিয়ে সবাই ভুল বোঝেন। নিজ সন্তানকে কেউ কেউ ‘বয়ফ্রেন্ড’ মনে করে বিভিন্ন ধরনের রসাত্মক মন্তব্য করেন বসেন অথবা ‘ভাই’ বা অন্য কোনো আত্মীয়-স্বজন তা জিজ্ঞাসা করে বসেন। প্রিয় সন্তানকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে গেলে লোকজন অন্য রকম চোখে তাকায়। তিনি ছেলেকে নিয়ে কোনো মার্কেটে, পার্কে কিংবা কোনো হোটেলেও পর্যন্ত যেতে পারেন না। সিমির সমস্যাটা এখানেই।

 

গাণিতিক হারে সিমির বয়স বাড়লেও শারীরিকভাবে তা বাড়ছে না। কোনো না কোনো এক রহস্যময় কারণে তার চেহারা যেন বিশের কোটায় আটকে গিয়েছে। অধিকাংশরাই তাকে ২০ বছরের তরুণী মনে করে। কারণ বিশের পর থেকে একটুও বদলায়নি সিমির চেহারা। অথচ সিমির স্কুল ও কলেজ জীবনের বান্ধবীদের চেহারায় রীতিমতো বয়সের ছাপ চলে এসেছে।

 

এ বিষয়ে ব্রিটেনের ডেইলি মেইল পত্রিকাকে সিমি মুনসি বলেন, আমার মনে হচ্ছে, আমার বয়সটা একটি জায়গায় থেমে গেছে। আমার ২০ বছরের ছবি এবং বর্তমান ছবি পাশাপাশি রাখলে কেউ কোনো পার্থক্য খুঁজে পায় না। মনে করে দুটো ছবি একই সময়ের তোলা।

সিমি আরো বলেন, ‘প্রথমে আমি বিষয়টাতে এতো গুরুত্ব দিতাম না। কিন্তু, আমার পুত্রের জন্মের ১০ বছর পরেও সবাই বলতো আমার চেহারায় কোনো পরিবর্তন আসছে না। এরপর আরো ১০ বছর পার হয়ে গেল এখনো লোকের মুখে সেই একই কথা শুনি। এখন আমি নিজেও বিষয়টা বুঝতে পারি।’

 

কিন্তু মজার ব্যাপারটি হলো- এই রকম চির যৌবনের পিছনে তার কোনো গোপন কৌশল বা রহস্যও লুকিয়ে নেই বলে জানান ওই মা।

 

সিমি জানিয়েছেন, তিনি কোনো রূপচর্চাও করেন না। প্রাকৃতিক ও স্বাভাবিক খাবার খান তিনি। অবাক করার মতো কথা হলো তিনি তার জীবনে কখনো এলকোহল জাতীয় কিছু পান করেননি। প্রচুর পরিমাণ পানি পান করেন আর গ্রিন টি পান করেন। নিয়ম মেনে জিমে গিয়ে ব্যায়ামও করেন। তার চেহারা নিয়ে তেমন ভাব চিন্তা নেই। তিনি আরো জানান, আয়নায় নিজের মুখ কমই দেখা হয় তার।

 

সিমি মুনসি এও জানান, তার বাবা-মাকেও বয়সের তুলনায় অনেক তরুণ লাগে। তাই তিনি এ বিষয়টি জিনগত বলে মনে করছেন।

 

তিনি বলেন, ‘নিজের ছেলেকে নিয়ে বহুবার বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। ভুল সংশোধন করে দেয়ার আগ পর্যন্ত অধিকাংশ লোকজনই ছেলেকে আমার বয়ফ্রেন্ড মনে করে। একবার পোল্যান্ডে বেড়াতে গিয়ে হোটেল বুকিংয়ের সময় আমিনকে যখন আমার ছেলে হিসেবে পরিচয় দিলাম তখন বুকিং অফিসার কিছুইতেই সেটা মানতে চাইছিলেন না। তিনি জোর করে আমার মুখ দিয়ে স্বীকার করানোর চেষ্টা করেন যে আমরা হয় প্রেমিক-প্রেমিকা, নয়তো স্বামী-স্ত্রী! এতে করে আমার ছেলে আমিন প্রচণ্ড রকম বিব্রত হন।

 

 

ই-বার্তা/ডেস্ক