৫ বছরে ৫০টির বেশি গার্মেন্টস ও শিল্প-কারখানা হবে রাজশাহীতে- মেয়র লিটন

ই-বার্তা ডেস্ক ।। মেয়র লিটন বলেন, রাজশাহীতে গার্মেন্টস ও বড় কোন শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠেনি। এতো বছর ধরে কেউ আনতে পারেনি। আমি প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর গার্মেন্টস ও শিল্প-কারখানা আনার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু ২০১৩ সালের এক বিপর্যয়ের কারণে সেই উদ্যোগ সফল হয়নি। আবার সুযোগ এসেছে।

 

আগামী ৫ বছরে রাজশাহীতে ৫০টির বেশি গার্মেন্টস ও শিল্প-কারখানা হবে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, রাজশাহীর প্রধান সমস্যা কর্মসংস্থানের অভাব। কর্ম না থাকায় যুবকরা হতাশ হয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবো। বুধবার বেলা ১১টায় নগরীর অলকার মোড়ে মাস্টার সেফ রেস্টুরেন্টে ‘আলোর ঠিকানা’ প্রকল্প অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কিছুক্ষণ আগে আমার ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযিম একটি সুখবর দিলেন। জানালেন, তার শ্রীলংকান বন্ধু রাজশাহীতে এসেছেন। রাজশাহী ঘুরে শহরটি তার পছন্দ হয়েছে। তিনি এখানে একটি গার্মেন্টস গড়ে তুলতে চান। কারণ আমাদের উপর তার আস্থা হয়েছে। আগামী ৫ বছরে রাজশাহীতে ৫০টির অধিক গার্মেন্টস ও শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা হবে। যেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

মেয়র আরো বলেন, কর্মসংস্থানের অভাবের সমাধান হলে মানুষের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি হবে। এমনিতেই এখানকার অনেক সমস্যার সমাধান হবে। একাজে সবার সহযোগিতা ও দোয়া চাই। স্বেচ্ছাসেবী বহুমুখী মহিলা সমাজ কল্যান সমিতির (এসবিএমএসএস) নির্বাহী পরিচালক নূরে জান্নাত মিতুর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল সরকার, স্থানীয় দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, জেলা গণশিক্ষা উপানুষ্ঠানিক ব্যুরোর সহকারী পরিচালক আনোয়ার কামাল, বোয়ালিয়া থানা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এমএফএম জহুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ রাজশাহীর সভাপতি কল্পনা রাণী রায়।

উল্লেখ্য, নারীর অধিকার সুরক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১২, ১৩, ২০, ২৮ ও ২৯ নং ওয়ার্ডে ‘আলোর ঠিকানা’ নাম প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এসবিএমএসএস। এই প্রকল্পের সহযোগিতায় আছে একশনএইড বাংলাদেশ। আজকের প্রকল্প অবহিতকরণ সভায় ইয়ুর্থ লিডারসহ তরুণীরা অংশ নেন।

 

ই-বার্তা /  তামান্না আলী প্রিয়া