জামায়াতকে পাশে না পেয়ে সরকারকে দোষ গয়েশ্বরের

রাজনীতি ডেস্ক ।। সিলেটে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত। রাজশাহীতে প্রতিদ্বন্দ্বী না হলেও জোটের প্রধান শরিক বিএনপির পাশে নেই জামায়াত। আর এই অবস্থার জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন গয়েশ্বও চন্দ্র রায়।

 

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক কণ্ঠ স্তব্ধ করার জন্য ২০ দলীয় জোটের উচ্চ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তার মধ্যে জামায়াতকে আলাদা চাপে রাখা হয়েছে।’বৃহস্পতিবার নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন গয়েশ্বর। তখন তিনি জামায়াতকে পাশে না পাওয়ায় দায় দেন সরকারকে।১৯৯৯ সালে গাঁটছাড়া বাঁধা বিএনপি-জামায়াতে বিচ্ছেদের দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। সিলেটে মেয়র পদে ছাড় আশা করেছিল স্বাধীনতাবিরোধী দলটি। কিন্তু বিএনপি সদ্য বিদায়ী মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে বাদ দিয়ে জামায়াতকে সমর্থন দিতে রাজি হয়নি। আর জামায়াত সেখানে আরিফুলকে চ্যালেঞ্জ করে প্রার্থী করেছে এহসানুল মাহবুব জুবায়েরকে।রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও মেয়র পদে প্রার্থী ঠিক করে রেখেছিল জামায়াত। শেষ পর্যন্ত তিনি প্রার্থী না হলেও কাউন্সিলর পদে ১৬ জনকে দাঁড় করিয়েছে তারা। এর মধ্যে সাধারণ ৩০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৪ জন এবং সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের ১০টির মধ্যে তাদের প্রার্থী আছে দুটিতে।৯ জুলাই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনের আগে বিএনপিকে জামায়াত জানিয়ে দেয়, মেয়র পদে বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে জামায়াতের সমর্থন আশা করলে তাদের কাউন্সিলর প্রার্থীদের ছাড় দিতে হবে। কিন্তু বিএনপি রাজি হয়নি আর এ কারণে দূরে দূরে জামায়াত।এ নিয়ে বিএনপি-জামায়াতে সমঝোতা বৈঠক হয়েছে একাধিকবার। রাজশাহীতে যেমন চেষ্টা হয়েছে, তেমনি চেষ্টা হয়েছে রাজধানীতে কেন্দ্রীয়ভাবেও। কিন্তু জামায়াতকে টলাতে পারেনি বিএনপি।গয়েশ্বর বলেন, ‘জামায়াতকে আলাদা চাপেও রাখে আবার জামায়াতকে কাছে টানারও নানা কৌশল তারা (সরকার) অবলম্বন করছে।

 

 

কিন্তু এখনও জামায়াত তাদের কথায় সায় দেয় নাই। জামায়াত এখনো বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০ দলীয় ঐক্য জোটের সঙ্গে আছে। সে কারণে জামায়াতের ওপর তাদের আলাদা নজর আছে। তাই জামায়াতের নেতাকর্মীদের যে কোন মুহূর্তে গ্রেপ্তার করতে পারে এ আশঙ্কা তাদের মধ্যে কাজ করছে।’বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের টানপড়েনের গুঞ্জনের বিষয়ে এক প্রশ্নে বিএনপি নেতা বলেন, ‘চাওয়া পাওয়ার ব্যাপারে কোথাও কোথাও মতভেদ থাকবে। কিন্তু মৌলিক প্রশ্নে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে ২০ দলীয় জোট একমত।’এ সময় বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাদিম মোস্তাফা, বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকত, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।বুলবুল বলেন, ‘সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষ থেকে সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তার পক্ষে মাইকিং করতে বাধা দেয়া ও নির্বাচনী প্রচারে নিয়োজিত কর্মীদের গালিগালাজ করা হচ্ছে। এই অবস্থায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে। তাই এই নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রয়োজন।’

 

 

 

ই-বার্তা ।। ডেস্ক