প্রতারণা চক্রের মূলহোতা আমিনুল ইসলাম

ই-বার্তা ডেস্ক।।  বর্তমান সমাজে শিক্ষা ও ভদ্রতাকে কাজে লাগিয়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে প্রতারণাসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাওয়া লোকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। তারা জড়িয়ে পড়ছেন ছলচাতুরী, ব্ল্যাকমেইলিং, অর্থ আত্মসাৎ, চাঁদাবাজীসহ নানা অপকর্মে। এমনই একজন আমিনুল ইসলাম।  

সম্প্রতি বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে আমিনুল ইসলাম নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।  মাস্টার্স পাশ করা আমিনুল বর্তমানে প্রতারণাকেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন।  দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আত্মসাৎ ও অসৎ ফায়দা লোটার একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে। 

অভিযোগকারীদের কাছ থেকে জানা যায়, আমিনুল ইসলাম নিজেকে দক্ষ মার্কেটিং কর্মকর্তা হিসেবে তুলে ধরে উচ্চ পর্যায়ের সুপারিশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী নেন। এরপর পেশাগত অযোগ্যতার কারণে কোথাও স্থায়ী হতে না পেরে শুরু করেন প্রতারণা।

অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সর্বশেষ ভুয়া চাকুরীর অভিজ্ঞতা দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে আমিনুল একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং বিভাগে যোগাদান করার পর চরম অযোগ্যতা ও অব্যাবস্থাপনার কারণে তাকে উৎপাদন বিভাগে বদলী করা হয়। সেখানেও আশানুরূপ কোনো কাজ দেখাতে না পারায় তাকে শোকজ নোটিশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। তখন ব্যাক্তিগত জেদের বশবর্তী হয়ে তিনি প্রতিষ্ঠান বিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে পড়েন। প্রতিষ্ঠান বিরোধী ষড়যন্ত্র করার দায়ে তাকে চাকুরীচ্যুত করা হয়। 

পরবর্তীতে আর কোনো চাকুরী না পেয়ে প্রতারণাকেই পেশা হিসাবে বেছে নেন আমিনুল ইসলাম। আমিনুল তার ঘনিষ্ঠ কিছু লোকজন নিয়ে গড়ে তুলে একটি প্রতারণা চক্র। যেসব প্রতিষ্ঠানে সে কর্মরত ছিলেন সেসব প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ অনেক বিষয় তার অবগত থাকায় তাদের নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার ও কুৎসা রটনা করেন। একপর্যায়ে তাদের কে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। অন্তত পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এছাড়া তার সংঘবদ্ধ চক্র নিয়ে ভুয়া পরীক্ষণ কর্মকর্তা সেজে টেস্ট এর নামে বিভিন্ন উৎপাদন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাঁদাবাজি করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে তার নামে। চাঁদা দিতে কেউ অস্বীকৃতি জানালে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও প্রশাসনের নাম ভাংগিয়ে নানারকম হুমকি দেন তিনি।

অনুসন্ধানে আরো বেরিয়ে এসেছে গাজীপুরের কুখ্যাত রাজাকারের সন্তান আমিনুল। শুন্য থেকে শুরু করে কোনো ব্যবসা বা চাকুরী না করেও সে এখন দেশে-বিদেশে বিপুল সম্পত্তির মালিক। নিজের সন্তানদের যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার বিপুল ব্যয়ও তিনি মেটান এই প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমেই।

তবে, এসব অভিযোগের বিষয়ে তার সাথে ফোনে কথা বলতে চাইলে সে কোনো কথা বলতেই রাজি হননি।

এদিকে, শিগগিরই আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।