চ্যাম্পিয়ন, চ্যাম্পিয়ন, স্লোগানে ক্রোয়েশিয়াকে বরণ সমর্থকদের

স্পোর্টস ডেস্ক।। বিশ্বকাপের ফাইনালে জেতেনি ক্রোয়েশিয়া  কিন্তু দেশটির মানুষের কাছে তারাই ‘চ্যাম্পিয়ন’। ফাইনালের শিরোপা জিততে না পারলেও ভক্তদের মন তারা জয় করে নিয়েছেন। ক্রোয়েশিয়া চ্যাম্পিয়ন।’ ‘চ্যাম্পিয়ন…’ স্লোগানে দেশটির রাজধানী জাগরেবের রাজপথ মুখরিত করে তুলেছে দেশটির সমর্থকরা। মডরিচ-রাকিটিচ, পেরিসিচ-সুভাসিচদের বরণ করে নিতে হাজার হাজার দর্শক ক্রোয়েশিয়ার রাজধানীতে হাজির হয়েছেন। 

 

ক্রোয়েশিয়া যে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার থেকে ফুটবল উন্মাদনায় কোন অংশে কম নয় তা আগেই বুঝিয়ে দিয়েছে দেশের সমর্থকরা। মস্কোয় ফাইনাল দেখতে ৪৫ হাজার ক্রোয়াট সমর্থক রাশিয়ায় পাড়ি জমান। ক্রোয়েশিয়া প্রেসিডেন্ট সেমিফাইনাল, ফাইনাল দুই ম্যাচেই ছিলেন মাঠে। রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিপক্ষে রোববার ফাইনাল খেলেছে ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচটি তারা হেরেছে ৪-২ ব্যবধানে। তবে গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনার মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে নকআউট পর্বে গেছে। সেখানে ফাইনালে যাওয়ার পথে হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে। ফাইনালে হারলেও ক্রোয়েশিয়া ফুটবলারদের পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। বেঁধেছেন উষ্ণ আলিঙ্গনে।

Croatia’s supporters celebrate after a goal as they watch on a giant screen the Russia 2018 World Cup semi-final football match between Croatia and England, at the main square in Zagreb on July 11, 2018. (Photo by Denis Lovrovic / AFP) (Photo credit should read DENIS LOVROVIC/AFP/Getty Images)

এবার দেশের মানুষ তাদের উষ্ণ অভ্যার্থনা জানাতে চলে এসেছেন রাজপথে। দেশের বিশ্বকাপ দলের নায়কদের অভিনন্দন জানাতে দেশের পক্ষ থেকে একটি জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। সেখানে যেন ইচ্ছা করলেই সমর্থকরা হাজির হতে পারেন সেজন্য গণপরিবহন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, স্থানীয় সময় ৫টার দিকে (বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৩০ মিনিটের কাছাকাছি) দেশে পৌছানোর কথা ক্রোয়েশিয়া দলের। এছাড়া ক্রোয়েশিয়া ফুটবলাররা বিমানবন্দরে নামলে তাদের জন্য লাল গালিচার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তাদেরকে সম্মান জানানোর জন্য করা হবে প্যারেড।

 

দেশটির যেসব সমর্থক স্বশরীরে হাজিরা দিতে পারেননি তারা দেশের ফুটবলারদের এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত টিভিতে বসে উপভোগ করেছেন। সংবাদ মাধ্যমগুলো খেলোয়াড়দের জাতীয় ‘নায়ক’ বলে আখ্যা দিয়েছে। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার কাছে যেমন চ্যাম্পিয়ন ছাড়া কোন সফলতা নেই। ফুটবল পাগল ক্রোয়েশিয়ার কাছে অবশ্য তেমন নয়। বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠাও যে বড় ব্যাপার। তাদের খেলোয়াড়দের দেওয়া অভিনন্দনে তা স্পষ্ট। ফাইনালে হারের যে দুঃখ তা হয়তো ক্রোয়েশিয়ার সোনালী প্রজন্মের ফুটবলারদের এক নিমিষে মুছে যাবে না।

 

 

ই-বার্তা/ বিবিসি/রয়টার্স