বান্দরবানে পানির তীব্র সংকটে বিপর্যয়ে জনজীবন


ই-বার্তা প্রকাশিত: ২০শে মে ২০১৭, শনিবার  | দুপুর ০১:১২ চট্টগ্রাম

ই-বার্তা। পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। যার ফলে বিপর্যয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন । গ্রীষ্মের শুরুতেই জেলার পাহাড়ি আদিবাসী পাড়াগুলোতেই বেশিরভাগ বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছে। জেলার দুর্গম এলাকার খালে গর্ত খুঁড়ে, নদীর দূষিত ঘোলা পানি ব্যবহার করছেন স্থানীয়রা। এতে ডায়রিয়াসহ নানা ধরনের পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

প্রত্যন্ত দুর্গম অঞ্চলের গ্রামবাসীদের পানির প্রধান উৎস ঝর্ণা। এসব পানির উৎসগুলো শুকিয়ে যাওয়া ফলে পাওয়া যাচ্ছে না পানি। কারণ পানির উৎস ঝর্ণাগুলো থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের কারণে ঝর্ণার পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পায়ে হেটে এক থেকে দেড় কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ঝর্ণা খাল-নদী থেকে খাবারের পানি সংগ্রহ করছেন স্থানীয় বাসিন্দার।

জানা গেছে, এসব মানুষের পানির চাহিদা মেটাতে জেলা পরিষদ, জনস্বাস্থ্য প্রকৗশলী বিভাগ ও বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। তবে ঠিকাদার ও সেবাদানবারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে এলাকাবাসীর অনেক অভিযোগ আছে। রিং ওয়েল ও টিউবওয়েল খননে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নেয়ায় শুষ্ক মৌসুমে পানি উঠে না। অধিকাংশ রিং ওয়েল ও টিউব ওয়েল অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে বলে এলাকাবাসী জানান।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, পুরো জেলায় ৮৬৬১টি রিংওয়েল ও ডিপ টিউবওয়েল রয়েছে। যার মধ্যে ৫৬৮৯টি সচল এবং ২৯৭২টি অচল। জিএফএস লাইন ৮৮টির মধ্যে ১৭টি সচল,অকেজো ৭১টি। একটি রিং ওয়েল ১২০ ফুট এবং টিউবওয়েল ৪৫০ ফুট খনন করার কথা থাকলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান খনন করেন সর্বোচ্চ ৬০ ফুট ও ২০০ ফুট। যার কারণে শুষ্ক মৌসুম আসার আগেই সেই সব রিং ওয়েল ও টিউবওয়েলে পানি থাকে না।

অবাধে পাথর উত্তোলন ও নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন বন্ধসহ, বনাঞ্চল উজাড়, অকেজো রিংওয়েল ও টিউবওয়েল সংস্কার করা হলে পানির সংকট কমে আসবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

সর্বশেষ সংবাদ

চট্টগ্রাম এর আরও সংবাদ