নোকিয়া ৩ এ রয়েছে নানা আকর্ষণীয় ফিচার


ই-বার্তা প্রকাশিত: ৫ই জুন ২০১৭, সোমবার  | সন্ধ্যা ০৭:৩৩ স্মার্টফোন

ই-বার্তা ।। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ফোন কোম্পানীগুলোর মধ্যে অন্যতম নোকিয়া । দীর্ঘদিন যাবত বাজারে দাপটের সাথে ব্যবসা করছে কোম্পানিটি ।কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবত ব্যবসায়ে পিছিয়ে তারা । নিজেদের ব্যবসাকে চাঙ্গা করতে এবার নোকিয়া নিয়ে আসছে নতুন এন্ড্রয়েড ফোন নোকিয়া ৩ ।

তাদের অ্যান্ড্রয়েডে পদার্পণ মূলত নোকিয়া ৬ ফোনটি দিয়ে।তবে অনেকের কাছেই সেটটি সুলভ্য নয়।মূলত তাদের কথা ভেবেই নোকিয়া ৩ সেটটি বাজারে আনছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি ।

এ ফোন নিয়ে বেশ আগ্রহ দেখা গেছে ক্রেতাদের মধ্যে ।সেট বাজারে আসার আগেই অনেকে অগ্রিম বুকিং দিয়ে রাখছেন । এজন্য ভাউচারও সংগ্রহ করেছেন তারা ।

এক নজরে নকিয়া ৩
o ৫ ইঞ্চি, ১২৮০*৭২০ পিক্সেল রেজুলেশনের আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে
o ডুয়াল ও সিঙ্গেল সিম দুটি সংস্করণেই রয়েছে
o মিডিয়াটেক এমটি ৬৭৩৭, ১.৩ গিগাহার্জ গতির কর্টেক্স এ৫৩ কোয়াডকোর প্রসেসর
o মালি টি৭২০এমপি২ জিপিউ
o ২ জিবি র্যাম
o অ্যান্ড্রয়েড ৭.০ নুগাট অপারেটিং সিস্টেম
o ১৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ, মাইক্রো এসডি কার্ড স্লট
o ৮ মেগাপিক্সেল, f/2.0 অ্যাপারচার ব্যাক ক্যামেরা

ডিজাইন

ফোনটির ফ্রেম বা শ্যাসি তৈরিতে ম্যাশিন করা অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার হয়েছে।চতুষ্কোন ফোনটির কোনাগুলো কিছুটা গোলাকৃতির করা হয়েছে। একই সঙ্গে এর পাশগুলোর ফিনিশও সম্পূর্ণ সমান না করে কিছুটা গোল রাখা হয়েছে যাতে হাতের সাথে সহজেই মানিয়ে যায়।

তুলনামূলক ছোট সাইজের স্ক্রিন হওয়ার ফলে এক হাতে ব্যবহারে এখনকার প্রায় সকল ফ্যাবলেটের চাইতে অনেক সহজ।
ফোনটির ওপরে রয়েছে হেডফোন জ্যাক, বাম পাশে সিম ও মেমোরি কার্ড স্লট এবং নীচে স্পিকার, মাইক্রোফোন ও মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট।

ডিসপ্লে
৭২০ পিক্সেল রেজুলেশনের ৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে ২০১৭ সালে বেশ বেমানান। একেবারে কম দামের ফোনেও চীনা নির্মাতারা আজকাল ১০৮০পিক্সেল ডিসপ্লে ব্যবহার করছে।

এক্ষেত্রে অবশ্য ৭২০ পিক্সেল ডিসপ্লে ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। পিক্সেলের পরিমাণ কম থাকায় ফোনের জিপিউ ল্যাগ কম।
ব্রাইটনেস, কন্ট্রাস্ট ও ভিউইং অ্যাঙ্গেলের সমস্যা আইপিএস প্রযুক্তির প্যানেল ব্যবহারের কারণে প্রায় সম্পূর্ণই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। ডিসপ্লেতে পোলারাইজার ব্যবহারের ফলে প্রখর রোদেও ডিসপ্লেটি সহজেই দেখা যাবে।

পারফরমেন্স
চারটি কর্টেক্স এ৫৩ কোর মাত্র ১.৩ গিগাহার্জ গতিতে চলার ফলে সিঙ্গেল কোর ও মাল্টি কোর দু’ক্ষেত্রেই ফোনটি অসাধারণ কোনো পারফরমেন্স দেখাতে পারেনি।

সিঙ্গেল কোর পারফরমেন্সের ঘাটতির ফলে অ্যাপ লোডিং, ফটো এডিটের মতো কাজ বেশ ধীর গতিতে হবে। ল্যাগ দেখা না গেলেও, কোনও কিছুই দ্রুততার সঙ্গে শেষ হবে না।
মাত্র চারটি কোর থাকায়, যার সবগুলো একই ধীরগতির হওয়ার ফলে মাল্টি-থ্রেডেড প্রসেস, অ্যাপ সুইচিং ও মাল্টিটাস্কিংয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা ল্যাগ দেখা যেতে পারে।

ক্যামেরা
পেছনের ক্যামেরার রেজুলেশন খুব ভালো না হলেও অ্যাপারচার ও পিক্সেলের সাইজ বড় হবার ফলে নয়েজের পরিমাণ ছবিতে নিয়ন্ত্রণের মাঝেই রয়েছে।
আলোর পরিমাণ যথেষ্ট হলে বা দিনের বেলা বাইরের শটে শার্পনেসের পরিমাণ খুবই ভালো। ছবিগুলো জুম না করলে সোশ্যাল মিডিয়াতে সহজেই ব্যবহার করা যাবে।

একই অ্যাপারচার ও রেজুলেশনের সেন্সর হওয়ার ফলে সেলফি ক্যামেরাটি তুলনামূলকভাবে ব্যাক ক্যামেরার চাইতে বেশি কাজের। যারা সেলফি ও ভ্লগ করে অভ্যস্ত তাদের বেশ কাজে আসবে ফোনটি।

ব্যাটারি লাইফ
২৬৫০ এমএএইচ ধারণ ক্ষমতার ব্যাটারি ২০১৭ সালে এসে কম মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। চিপসেট অনুযায়ী এটি নিতান্তই কম নয়।
৪-৬ ঘণ্টা স্ক্রিন অন টাইম ও ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত স্ট্যান্ডবাই টাইম পাওয়া যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ

স্মার্টফোন এর আরও সংবাদ