অপহরণ নয় স্বেচ্ছায় খুলনা গিয়েছিলেন ফরহাদ মজহার ঃ আইজিপি


ই-বার্তা প্রকাশিত: ১৩ই জুলাই ২০১৭, বৃহঃস্পতিবার  | সন্ধ্যা ০৬:২৫ বিশেষ প্রতিবেদন

ই-বার্তা ।। ফরহাদ মজহার স্বেচ্ছায় খুলনা গিয়েছিলেন, অপহরণের কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন আইজিপি।

শহীদুল হক বলেন, ফরহাদ মজহারকে অপহরণের বিষয়ে সরকারকে জড়িয়ে একটি মহলের বক্তব্যের কোনো ভিত্তি নেই। সেদিন উনি স্ত্রীর সাথে দশবার এবং আরেকটি মোবাইলে (অর্চনা রানি) ছয়বার কথা বলেছেন। তার কাছ থেকে ওই মোবাইলে একটি এসএমএসও এসেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দ্বিতীয় নম্বরটির সূত্র ধরে তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, ওই ফোনের মালিক ঢাকার ভাটারায় আছেন। পরে মোবাইল ট্র্যাক করতে গিয়ে দেখেন, ফোনের মালিক চট্টগ্রামে চলে গেছেন।
“পরে জানতে পারি, তিনি একজন নারী। তিনি ফরহাদ মজহারের পূর্ব পরিচিত। তাদের মধ্যে ওইদিন (অন্তর্ধানের দিন) কথোপকথন হয়। পরে আমরা তার জবানবন্দি রেকর্ড করাই।”

আইজিপি বলেন, ৩ জুলাই সকালে ফরিদা আখতার যখন থানায় লোক পাঠিয়ে অভিযোগ জানান, ফরহাদ মজহারের অবস্থান তখন ছিল আরিচা ঘাটের পরে। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের ওই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তখন আরিচার পর থেকে সব মাইক্রোবাসে তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু কোনো মাইক্রোবাসে তাকে পাওয়া যায়নি।

সেদিন বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত খুলনা নিউ মার্কেট এলাকায় ফরহাদ মজহারের চলাফেরার সিসিটিভি ভিডিও পাওয়ার বিষয়টিও সংবাদ সম্মেলনে জানান শহীদুল হক।

তিনি বলেন, ওই নারীকে ফরহাদ মজহার রকেটের মাধ্যমে দুই দফায় মোট ১৫ হাজার টাকা পাঠান। আর স্ত্রীর সঙ্গে তার কথোপকথনের রেকর্ডও পুলিশের হাতে আছে।

আমাদের কাছে এ পর্যন্ত প্রতীয়মান হচ্ছে, উনি অপহৃত হননি, উনি স্বেচ্ছায় গেছেন। আমার মনে হচ্ছে, উনি বাসে করে খুলনায় গিয়েছিলেন, কারণ আমরা মাইক্রোবাস তল্লাশি করেছি।

গত ৩ জুলাই সোমবার ভোরে ফরহাদ মজহার অপহৃত হয়েছিলেন বলে তাঁর পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল। সেদিনই রাতে তাঁকে যশোরের নওয়াপাড়ায় হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে উদ্ধার করা হয়। পরের দিন তাঁকে ঢাকায় এনে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দি দেন। ওই দিনই শারীরিক অসুস্থতার কারণে ফরহাদ মজহারকে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল থেকে গতকাল বুধবার ছাড়া পান তিনি।

সর্বশেষ সংবাদ

বিশেষ প্রতিবেদন এর আরও সংবাদ