একে তো রোদের তাপে ভিজে যাই, তার উপরে যানযট


ই-বার্তা প্রকাশিত: ২৪শে সেপ্টেম্বর ২০১৭, রবিবার  | দুপুর ১২:১১ দেশ

ই-বার্তা প্রতিবেদক।। রবিবার সকালে রাজধানীর রায়ের বাজার এলাকায় কিছুটা ছায়া পেয়ে রিকশা থামিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন কয়েকজন রিকশাওয়ালা। এদের মধ্যে একজন, তার পাশের ভাসমান দোকান থেকে আইসক্রিম কিনে খাচ্ছিলেন। কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই এক গাল হেসে নিজেই বললেন, খুব গরম আপা। রাস্তায় নামলেই ঘামে গা ভিজে যায়। মুখে হাসি থাকলেও ইউসুফ নামের ওই রিকশাওয়ালাকে খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছিলো। জিজ্ঞেস করলাম, “রাস্তার অবস্থা কি?” তিনি উত্তর দিলেন, “একে তো রোদের তাপে ভিজে যাই, তার উপরে যানযট। সারাদিনে দুইটা ট্রিপ মারলেই অবস্থা খারাপ হয়ে যায়”। আর কথা না বাড়িয়ে রওনা দিলাম নিজের গন্তব্যে।

হঠাৎ বৃষ্টির মতোই হঠাৎ গরমে নাস্তানাবুদ অবস্থা ঢাকাবাসীর। অল্প কিছুদিন আগেই ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছিল নগরবাসী। জলাবদ্ধতার দূর্ভোগ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছে প্রচন্ড গরম। ইট, পাথর, বালু, সিমেন্ট ও কংক্রিটে ঘেরা ঢাকা রৌদ্রের তাপে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এতে গরম ও যানযটে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে রাজধানীবাসী। আবহাওয়া অফিস সূত্রে আজকের তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং আদ্রতা ৬৮ শতাংশ।
গত সপ্তাহে বৃষ্টির মধ্যেও গরম ছিল কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেটি খুব একটা অসহ্যকর ছিলোনা। তবে বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় এখন সেটা অনুভব করছে নগরবাসী। রৌদ্রের তাপে দুর্ভোগে পড়েছে নগরের বাস যাত্রী, রিকশা চালক ও সমাজের খেটে খাওয়া মানুষ। নাগরিক জীবনে এই অসহ্য গরম উপেক্ষা করেই সবাইকে ছুটতে হচ্ছে নিজ কর্মস্থলে।

প্রচন্ড গরমে শরীর থেকে পানির পরিমাণ কমতে থাকে। খানিক হাটাচলাতেই তৃষ্ণায় বুক ফেটে যায়। ফলে যানযট ও ভ্যাপসা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। আর তীব্র গরমে কর্মব্যস্ত নগরবাসীর তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তার পাশেই গড়ে ওঠেছে বিভিন্ন ধরণের শরবত, কোমল পানীয় ও মৌসুমি ফলের ভাসমান দোকান। অনেকে ওইসব দোকানে গিয়েই পানির তৃষ্ণা মিটিয়ে নিচ্ছেন। কখনও আকাশে মেঘ দেখা গেলেও ভ্যাপসা গরম কমছে না।

সব মিলিয়ে রাজধানীতে বসবাস করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে দাড়িয়েছে। সরকার দ্রুত নগরায়নের ব্যবস্থা না করলে খুব শীগ্রই ঢাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে।

ছবি- সংগৃহীত

সর্বশেষ সংবাদ

দেশ এর আরও সংবাদ