ডিএনএ রিপোর্ট না আসায় রূপা ধর্ষণ-হত্যা মামলার চার্জশিটে দেরি


ই-বার্তা প্রকাশিত: ২রা অক্টোবর ২০১৭, সোমবার  | সন্ধ্যা ০৬:০২ অপরাধ

ই-বার্তা ।। টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ‘ল’ কলেজের শিক্ষার্থী রূপা খাতুনকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দেয়ায় দেরি হচ্ছে ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন না আসায়।

পুলিশ জানিয়েছে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। ডিএনএ প্রতিবেদন এলেই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হবে।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মাহবুব আলম সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে চলন্ত বাসে রূপা খাতুনকে ধর্ষণ করে পরিবহন শ্রমিকরা। পরে তাকে ঘাড় মটকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।

মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্তের সময় সংরক্ষিত রূপার দাঁত ও পরিধেয় বস্ত্র আদালতের অনুমতি নিয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এদিকে মামলার তদন্তও শেষ পর্যায়ে।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, গ্রেফতারকৃত ছোঁয়া পরিবহনের সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীর (৫৫) বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধিত ২০০৩) ৯ এর তিন ধারায় গণধর্ষণের অভিযোগ এবং দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যার অভিযোগ, ২০১ ধারায় মরদেহ গুমের অভিযোগ এবং ৩৪ ধারায় সহায়তার অভিযোগ আনা হচ্ছে অভিযোগপত্রে। অভিযোগপত্রে ২০ থেকে ২২ জনকে সাক্ষী করা হচ্ছে। এদের মধ্যে পুলিশ, চিকিৎসকসহ পাঁচ/ছয়জন সরকারী কর্মকর্তা থাকছেন।

সর্বশেষ সংবাদ

অপরাধ এর আরও সংবাদ