দ্বিতীয় ধরলা সেতু খুলে দেয়া হবে এ বছর


ই-বার্তা প্রকাশিত: ৮ই অক্টোবর ২০১৭, রবিবার  | বিকাল ০৫:৩৯ রংপুর

ই-বার্তা ।। সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটের পূর্ব সীমান্তে রয়েছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা। এ উপজেলার মানুষের নিকটবর্তী শহর হিসেবে লালমনিরহাট বেশ জনপ্রিয়। তবে দুই জেলাকে বিভক্ত করেছে খরস্রোত ধরলা নদী।

দুই জেলার কয়েক লাখ মানুষ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকল্পে দীর্ঘদিন ধরে এ নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে। শুধু ফুলবাড়ী নয়, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী এ দুই উপজেলার মানুষকে রংপুর বা রাজধানী ঢাকা যেতে অনেকটা পথ ঘুরে যেতে হয়। যাতে সময়, শ্রম ও অর্থ সবই বেশি অপচয় হয়। এ সেতুর ফলে তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হচ্ছে।

সরকার দুই জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ও কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের কুলাঘাট এলাকায় দ্বিতীয় ধরলা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ২০১২ সালের ২০ নভেম্বর লালমনিরহাটে এক জনসভায় এ সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। যা বর্তমানে ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এলজিইডি সূত্রে জানা যায়,


১৩ একর জমি অধিগ্রহণ করে দ্বিতীয় ধরলা সেতু নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯১ কোটি ৭৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। যার মধ্যে মূল সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৩ কোটি ৭২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। ফুলবাড়ী ও লালমনিরহাট অংশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ বাবদ ১৩ কোটি ৫৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকা, নদী শাসন ৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, বিদ্যুতায়ন বাবদ ৮৫ লাখ ৭২ হাজার টাকা। সিমপ্লেক্স ও নাভানা কনস্ট্রাকশন গ্রুপ সেতুটি নির্মাণ করছে।

৯৫০ মিটার দীর্ঘ ও ৩২ মিটার চওড়া সেতুটির ১৯ স্প্যানের মধ্যে ১৭টির কাজ শেষ হয়েছে। ৯৫ গার্ডারের মধ্যে মাত্র তিনটির কাজ বাকি রয়েছে। নদী শাসনের কাজ শেষ হয়েছে। দুই হাজার ৮৭২ মিটার অ্যাপ্রোচ রোডের কাজও শেষ পর্যায়ে। দৈর্ঘ্য বঙ্গবন্ধু সেতুর পর এ সেতুর অবস্থান। আগামী ডিসেম্বর মাসে এ সেতুর কাজ শেষ করে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে এজিইডি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সর্বশেষ সংবাদ

রংপুর এর আরও সংবাদ