কান পরিষ্কার করতে সতর্ক থাকুন


ই-বার্তা প্রকাশিত: ১০ই অক্টোবর ২০১৭, মঙ্গলবার  | বিকাল ০৩:৩৮ মেডিকেল

ই-বার্তা হেলথ।। আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হল কান। কিন্তু এই কানকে আমরা সবচেয়ে বেশি অবহেলা করে থাকি। কান একটু চুলকালেই আমরা কটন বাড বা অন্য কিছু দিয়ে কানে খোঁচাখুঁচি শুরু করি। কিন্তু এভাবে কান ভালমত পরিষ্কার হয় না বরং কানের আরো ক্ষতি হয়।

কানে ময়লা জমার কিছু লক্ষণ রয়েছে। সেগুলো হোলো-
১। কানে ব্যথা
২। মাথা ঘোরা
৩। চুলকানি
৪। কানের ভিতর অদ্ভুত কোন আওয়াজ হওয়া
৫। কান থেকে বাজে গন্ধ বের হওয়া
এই লক্ষণ গুলো দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনার কানে বেশ ভালোভাবে ময়লা বাসা বেঁধেছে। এ অবস্থায় কানে নিজে নিজে খোঁচাখুঁচি না করে চিকিৎসকের কাছে যান। কানের ময়লা গলিয়ে বাইরে বের করে আনার বিভিন্ন ড্রপ রয়েছে যা চিকিৎসক আপনাকে ব্যবহার করতে বলবেন। কিন্তু কোনোভাবেই নিজে নিজে ড্রপ ব্যবহার করবেন না কারণ একেক ধরণের সমস্যার জন্য একেক ধরণের ড্রপ পাওয়া যায়।

কান পরিষ্কার করবার জন্যে কটন বাড ব্যবহার করায় অনেকগুলো ঝুঁকি থাকতে পারে। যেমন,
১। ৩/৪ দিন আগে খুলে রাখা প্যাকেট থেকে কটন বাড বের করে নিয়ে ব্যবহার করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ৷ আমাদের দেশে আর্দ্রতার প্রভাবে প্যাকেট খুলে রাখা কটন বাডে ছত্রাক জন্মায়, সেটি কানে ব্যবহার করলে কানে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে৷
২। কান পরিষ্কার করার সময় কোনো কারণে হঠাৎ চমকে উঠলে অসতর্কতাবশত কানে কটন বাডের আঘাত লাগতে পারে৷ কটন বাড দিয়ে কান অহেতুক খোঁচাখুঁচির ফলে কানে আঘাত লাগতে পারে নিজের অজান্তেই, এমনকি ছিঁড়ে যেতে পারে কানের পর্দাও৷
৩। যদি কানের কোনো অসুখের কারণে কান চুলকায়, তাহলে কটন বাড ব্যবহারের কারণে অসুখের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে৷
৪। নিয়মিত কটন বাডের মাধ্যমে কান


পরিষ্কার করতে থাকলে প্রাকৃতিকভাবে কান পরিষ্কার হওয়ার পদ্ধতিটি বাধাগ্রস্ত হয়৷
৫। কটন বাড ব্যবহারে কানের ময়লা কিছুটা বের হলেও বাকিটা ধাক্কা খেয়ে কানের সরুপথের আরো গভীরে গিয়ে আটকা পড়ে।

বিশেষ কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কান পরিষ্কারের কোনো দরকারই নেই। প্রাকৃতিকভাবেই কানের নিজস্ব কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে, যার মাধ্যমে কান পরিষ্কার হয়৷ ত্বকের মৃত কোষ ও বাইরের ধুলোময়লা মিলে তৈরি হয় কানের খৈল বা ওয়াক্স। প্রকৃতিগতভাবেই কানের সরুপথের ত্বক বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেখানে জমে থাকা তরল ও আঠালো খৈলকে কানের বাইরে পাঠাতে ব্যস্ত থাকে। সেই সাথে চোয়ালের অনবরত নড়াচড়া সাধারণভাবে কানে জমা খৈলকে কান থেকে বের করে দেয়ার প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে। এই দুই প্রক্রিয়ায় বেশির ভাগ মানুষের কানে স্বাভাবিকভাবে জমতে থাকা খৈল স্বাভাবিকভাবেই বেরিয়ে যায়।

কান পরিষ্কার করার একটি ঘরোয়া ও সঠিক নিয়ম-
- বেবি অয়েল কানের ময়লা পরিষ্কার করতে অনেক বেশি কার্যকরী। একটি ড্রপারে বেবি অয়েল নিন। কয়েক ফোঁটা তেল আস্তে আস্তে কানের ভিতরে দিয়ে দিন। একটি তুলার বল কানের খোলা অংশে রাখুন যাতে তেল ভিতর থেকে বের না হয়ে যায়। দুই মিনিট পর তুলার বলটি সরিয়ে ফেলুন। অতিরিক্ত তেল বের করার জন্য আপনি মাথার বিপরীত দিকে কাত করুন। কানের ভিতর তেল থাকলে একটি পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন।

এছাড়া কান পরিস্কার করার ব্যাপারে চমৎকার একটি তথ্য আছে। তা হোলো, আপনি যত বেশি কান পরিষ্কার করবেন তত বেশি ময়লা হবে। অর্থাৎ, কান পরিষ্কার না করা উত্তম ।

সর্বশেষ সংবাদ

মেডিকেল এর আরও সংবাদ