অনুভূতির আরেক নাম কোকাকোলা


ই-বার্তা প্রকাশিত: ২৫শে অক্টোবর ২০১৭, বুধবার  | সন্ধ্যা ০৬:২৮ আন্তর্জাতিক

ই-বার্তা।। কোকাকোলার নাম শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বোধ হয় একটু কঠিন। পৃথিবীর ৯০ ভাগ মানুষই কোকাকোলার লাল লোগোটি চেনে।
ব্যাপারটা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, উৎসব মানেই চাই কোকাকোলা। আড্ডা মানেও কোকাকোলা। আবার ক্লান্ত সময়েও একটা কোকাকোলা এনে দেয় রিফ্রেশমেন্ট। কিন্তু এই প্রিয় পানীয়টি সম্পর্কে এমন অনেক মজার তথ্য রয়েছে যা আপনার অজানা। আসুন জেনে নেই, এই পানীয়টির কোকাকোলা হয়ে উঠার গল্প ও এর সম্পর্কে মজার কিছু তথ্য।


- যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটলান্টার চিকিৎসক ড. জন পেমবার্টন ১৮৮৬ সালের ৮ মে প্রথম কোকাকোলার ফর্মুলা তৈরি করেন। শুরুর দিকে শুধুমাত্র ওষুধের দোকানে পানীয়টি বিক্রি হতো।
- কোকাকোলার আবিষ্কারক এর প্রচার শুরু করেছিলো মাথা ব্যাথা ও দুর্বলতার ওষুধ হিসেবে। প্রথম কোকাকোলার দাম ছিলো মাত্র ৫ সেন্ট।
- এখন পর্যন্ত উৎপাদিত কোকাকোলার সব বোতল যদি মানুষের মাঝে বিলি করা হয় তাহলে প্রত্যেকে ১০০০ টির বেশি বোতল পাবে।
পুরো বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৮০০০ গ্লাসেরও বেশি কোকাকোলা খাওয়া হয়।
- এ যাবত কালে উৎপাদিত সব কোকাকোলা ঢেলে যদি একটি সুইমিং পুল বানানো হতো তাহলে সেই সুইমিংপুলের দৈর্ঘ্যে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ও প্রস্থে ১৫ কিলোমিটার হতো। এর গভীরতা হতো ২০০ মিটার। এই সুইমিং পুলে প্রায় হাফ বিলিয়ন মানুষ গোসল করতে পারবে।
- কোকাকোলা ব্র্যাষন্ড কোক ছাড়াও আরো প্রায় ৩৫০০ রকমের বেভারেজ তৈরি করে। প্রতিদিন অন্তত ৩টা করে বেভারেজ খেলেও সবগুলোর স্বাদ নিতে আপনার ৩ বছরেরও বেশি সময় লাগবে।
- কোকাকোলার ফেসবুক পেজে ৭০ মিলিয়নের বেশি ফ্যান আছে এবং প্রতিনিয়ত এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
- এখন পর্যন্ত উৎপাদিত কোকাকোলার ৮ আউন্সের বোতল সবগুলোকে যদি পাশাপাশি এক প্রান্তের সাথে আরেক প্রান্ত লাগিয়ে শেকলের মত করে রাখা হয় তাহলে তা অন্তত ১০০০ বার চাঁদে আসা যাওয়ার সমান লম্বা হবে এবং পুরো পৃথিবী ৪০০০ বারের বেশি ঘুরে আসা যাবে।
- বিশ্বের প্রায় ৯৪ শতাংশ মানুষ কোকাকোলার নাম জানে। আর “ওকে” শব্দের পর কোকাকোলাই হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় শব্দ, যেটা মানুষ উচ্চারণ করে থাকে।
- কোকাকোলা তৈরিতে ব্যবহৃত হয় কোকা গাছের পাতা আর কোলা গাছের ফল। সেখান থেকেই নাম হয়েছে কোকাকোলা। কোকা গাছ সাধারণত দক্ষিণ অ্যামেরিকায় জন্মায়। আর কোলা গাছের বাসস্থান পশ্চিম আফ্রিকায়।
- কোকাকোলা মানেই ঠান্ডা পানীয়। তবে হংকং-এ ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে মুক্তি পেতে পান করা হয় গরম কোকাকোলা।
- কোকাকোলা, অলিম্পিক গেমসের সবচেয়ে পুরানো স্পন্সর। ১৯২৮ সাল থেকেই স্পন্সরশীপ করে আসছে তারা।
- শুরুর দিকে কোকাকোলা বিপজ্জনক ছিল। কারণ তখন কোকাকোলায় মাত্রাতিরিক্ত সুগার ব্যবহার করা হতো। কিন্তু গত ২০-৩০বছরে তারা ডায়েট কোক ও জিরো কোকের মতো স্বল্প বা জিরো ক্যালরির পানীয় ছেড়েছে বাজারে। এখন বাজারে নানান কোম্পানীর কোমল পানীয় পাওয়া গেলেও কোকাকোলার জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি।

সর্বশেষ সংবাদ

আন্তর্জাতিক এর আরও সংবাদ