আজকের হেলথ টিপস- মস্তিষ্কের যত্ন


ই-বার্তা প্রকাশিত: ১০ই নভেম্বর ২০১৭, শুক্রবার  | দুপুর ১২:২৫ মেডিকেল

ই-বার্তা।। মস্তিষ্ক, দেহের সদর দপ্তর আমাদের মাথার পুরো হাড়টিকে বলে মাথার খুলি। মাথার খুলির মধ্যেই রয়েছে মস্তিষ্ক। মানুষের দেহের গড়ন ও উচ্চতার ভিত্তিতে মাথার খুলি তৈরি হয়। এই খুলিজুড়েই মস্তিষ্কের বিস্তৃতি। কপাল থেকে মস্তিষ্কের প্রায় পুরো অংশে রয়েছে অগ্রমস্তিষ্ক। অগ্রমস্তিষ্কের নিচের স্তরটির নাম মধ্যমস্তিষ্ক। মধ্যমস্তিষ্ক মানুষের কান বরাবর অবস্থিত। আর মধ্যমস্তিষ্ক অগ্রমস্তিষ্কের তুলনায় ছোট। মানুষের মস্তিষ্কের ৮০ শতাংশই হলো সেরেব্রাম। সেরেব্রাম অগ্রমস্তিষ্কের প্রধান অংশ।

সেরেব্রামে খাঁজকাটা উঁচু-নিচু অঞ্চল রয়েছে। এগুলোকে বলে সালকাস ও জাইরাস। এই উঁচু-নিচু অঞ্চলগুলোতে বিভিন্ন স্নায়ু নার্ভগুলো জড়িয়ে থাকে। এই স্নায়ুগুলো সারা দেহে সংবেদনশীলতা প্রদান করে। মধ্যমস্তিষ্কের পর পশ্চাৎমস্তিষ্ক অবস্থিত। এটি ঘাড়ের ওপরের দিকে অবস্থিত। পশ্চাৎমস্তিষ্ক থেকে স্নায়ুগুলো ঘাড়ের নিচ দিয়ে সারা দেহে ছড়িয়ে গেছে। ঘাড় থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত এই স্নায়ুগুলোর বিস্তৃতি। স্নায়ুগুলোর জন্যই পঞ্চ ইন্দ্রিয় এত সক্রিয়ভাবে কাজ করে।

মানুষের মস্তিষ্কের বর্ণ ঘোলাটে সাদা বা বাদামি আর নরম জেলির মতো এর গঠন। নরম মাংসল এই অঙ্গটিকে বিভিন্ন আঘাত ও চাপ থেকে রক্ষা করে মাথার খুলি। মাথার খুলির অপর নাম করোটি। করোটির জন্যই মস্তিষ্ক সঠিক আকার পায়। মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলোর দিকনির্দেশনাতেই দেহের অঙ্গগুলো সঠিকভাবে কাজ করে। সারা দেহের কর্মসঞ্চালন মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলোর মাধ্যমেই হয়। এ জন্য মস্তিষ্ককে বলে দেহের হেড অফিস।

আমাদের দেহে মস্তিষ্কের কাজ ১. দেহের সব অঙ্গের ওপর তত্ত্বাবধান করে। ২. মানুষের দেহে ‘মন’ নামের কোনো অঙ্গ নেই। সব চিন্তা-চেতনা, ইচ্ছা, অনুভূতি, উপলব্ধি নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্ক। ৩. মস্তিষ্কের স্নায়ু সারা দেহে সংবেদনশীলতা সঞ্চার করে। (উপলব্ধি, অনুভূতির প্রকাশই হলো সংবেদনশীলতা)।

মস্তিষ্কের যত্ন- ১. যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করুন। যত বেশি পানি পান করবেন, মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষে তত বেশি পরিমাণে রক্তপ্রবাহ হবে। ফলে স্নায়ুগুলো সজাগ হবে বেশি। ২. দুপুরে ঘুমানো পরিহার করুন। যাঁরা চোখের পরিশ্রম করেন বেশি, তারা দুপুরে বিশ্রাম নিন। ৩. দীর্ঘ বছরের হতাশা মানুষের মস্তিষ্কে বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই সর্বদা হাসিখুশি থাকুন। হতাশা, দুশ্চিন্তার কারণে মানুষের স্নায়ুগুলো দুর্বল হয়ে যায়। তখন সব অঙ্গের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। মানুষ দ্রুত সবকিছু ভুলে যায়। অর্থাৎ মস্তিষ্কের দিকনির্দেশনা সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। তাই সব সময় হাসিখুশি থাকুন। ৪. একটানা অধিক কাজ করার পর অবশ্যই বিশ্রাম নিন।

লিখেছেন: ডাঃ ফারহানা মোবিন
রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ স্কয়ার হাসপাতাল, ঢাকা। এম.পি.এইচ, সিসিডি (বারডেম হাসপাতাল) সি-কার্ড (ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন) কোয়ান্টাম গ্রাজুয়েট (কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন)

সর্বশেষ সংবাদ

মেডিকেল এর আরও সংবাদ