বগুড়ায় মা মেয়েকে ন্যাড়ার ঘটনায় ধর্ষনের প্রমান মিলেছে


ই-বার্তা প্রকাশিত: ৪ঠা আগস্ট ২০১৭, শুক্রবার  | দুপুর ০২:০৭ অপরাধ

ই--বার্তা ।। ‘ধর্ষণ’ ও মা-মেয়েকে ন্যাড়া করার ঘটনায় ডাক্তারি পরীক্ষার পর ধর্ষণের আলামত পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এ ঘটনায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, মেডিকেল প্রতিবেদন পাওয়া গেছে; সেটা পজিটিভ। ধর্ষণের আলামত মিলেছে।
বগুড়ার ওই কিশোরীকে ভালো কলেজে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে গত ১৭ জুলাই ও পরে কয়েকবার ধর্ষণ করেন জাতীয় শ্রমিক লীগ বগুড়া শহর শাখার আহ্বায়ক তুফান সরকার। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন তার কয়েকজন সহযোগী।
বিষয়টি জানতে পেরে তুফানের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ ‘একদল সন্ত্রাসী’ গত ২৩ জুলাই দুপুরে ওই কিশোরী এবং তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের মারধর করে নাপিত দিয়ে দুজনের মাথা ন্যাড়া করে দেয়।
এ ঘটনায় ২৩ জুন বিকালে তুফানসহ ১০ জনকে আসামি মামলা করেন ওই কিশোরীর মা। মামলার পর ঘটনাটি গণমাধ্যমে এলে দেশ জুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়; এরপর তুফানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে জাতীয় শ্রমিক লীগ।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে প্রধান আসামি তুফানকে ইতোমধ্যে প্রথম দফায় তিনদিন এবং দ্বিতীয় দফায় দুইদিন মিলিয়ে দুই দফায় মোট পাঁচদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকিকে চারদিন এবং তুফানের স্ত্রী আশাকে দুই দফায় মোট তিনদিন, শ্বশুর জামিলূর রহমান রুনুকে একদিন, শাশুড়ি রুমি খাতুনকে দুই দফায় তিনদিন, সহযোগী যুবক মুন্নাকে দুই দিন করে দুই দফায় মোট চারদিন এবং তুফানের গাড়িচালক জিতু ও নরসুন্দর জীবন রবিদাসকে দুইদিন করে রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
এর মধ্যে বুধবার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন নাপিত জীবন কুমার রবিদাস ও মামলার আরেক আসামি দিপু।
আসামিদের মধ্যে তুফান এবং রুমকিকে শুক্রবার আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের পাঁচদিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ।

সর্বশেষ সংবাদ

অপরাধ এর আরও সংবাদ