পাবেল পিকাসো একজন চিত্রশিল্পি, ব্যক্তিজীবন ও অন্যান্য


ই-বার্তা প্রকাশিত: ৬ই অক্টোবর ২০১৭, শুক্রবার  | বিকাল ০৫:৩৭ বিদেশ

ই- বার্তা।। আধুনিক শিল্পকলার এক অনন্য নাম পিকাসো, কিউবিজমের জনক তিনি। স্থাপত্য থেকে শুরু করে আধুনিক ফ্যাশন পর্যন্ত ভিজ্যুয়াল আর্টের প্রায় সব মাধ্যমেই রয়েছে এই কালজয়ী শিল্পীর প্রভাব। ১৮৮১ সালের ২৫ অক্টোবর জন্ম এবং ১৯৭৩ সালের ৮ এপ্রিল ৯১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

পিকাসো নাকি কথা বলার আগে আঁকা শুরু করেছিলেন। আর দশটি শিশুর মতো মা-বাবা নয়, বরং তাঁর মুখে প্রথম যে শব্দটি শোনা যায় তা হলো লাপিয, স্প্যানিশ ভাষায় যার অর্থ পেন্সিল।

তার জীবনের অজানা একটি দিক নিয়ে ২০০৯ সালে একটি আর্টিকেল প্রকাশ করেন মার্ক হাডসন। কীর্তিমান এই শিল্পীর মৃত্যুর এতো বছর পরে অভিযোগ উঠেছে, পিকাসো নাকি তার চিত্রকর্মের জন্য নারীদের শুধু ব্যবহার করতেন। পিকাসো- চ্যালেঞ্জিং দ্য পাস্ট শিরোনামে ন্যাশনাল গ্যালারিতে একটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রদর্শনীতে নারীদের সাথে পিকাসোর ‘কমপ্লিকেটেড রিলেশনশিপ’ বা জটিল সম্পর্কের দিকটিতে আলোকপাত করা হয়।

পিকাসোর জীবনে অনুপ্রেরণা ছিলেন তাঁর জীবনে আসা নারীরা। তাদের একেক জনের একেক রকম বৈশিষ্ট্যের প্রভাব পড়ে তাঁর কাজের মধ্যে। পিকাসোর জীবনে আসা বহু নারীর প্রভাবেই হয়তো পিকাসোর চিত্রকর্মের স্টাইলেও দেখা মেলে বৈচিত্র্যের।

২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে লন্ডনের জাতীয় গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত এক প্রদর্শনীতে পিকাসোর আঁকা নারীদের কিছু বিকৃত ছবি দেখলে আপনার মনে হতেই পারে নারীরা শুধুই পিকাসোর শিল্পদাসী ছিলেন। ক্যানভাসের উপর ফুটে ওঠা নারী প্রতিকৃতিগুলোর সারা শরীরে বিকৃতির চিহ্ন স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।পিকাসোর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সাত নারীর মধ্যে দুজন আত্মহত্যা করেছেন, দুজন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন।

কয়েক ডজন নারীর সাথে তার সম্পর্ক ছিল, মতান্তরে সংখ্যাটি শতের ঘরও ছাড়িয়ে যায়! শিল্পের জন্য, ছবি আঁকার জন্য এই নারীদের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল ছিলেন পিকাসো।

সর্বশেষ সংবাদ

বিদেশ এর আরও সংবাদ