অনিয়ম করে প্রার্থীদের নাম কেন্দ্রে পাঠালে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিবে আ’লীগ
ই-বার্তা ডেস্ক ।। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অনিয়ম করে যারা প্রার্থীদের নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন বা পাঠাবেন তাদের বিরুদ্ধে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। প্রমাণ পাওয়া মাত্রই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সেতু মন্ত্রী আজ সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিংকালে আবারও স্মরণ করে দিয়ে বলেন, কোন বিদ্রোহী প্রার্থীকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে না এবং এবারও যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন তাদের ভবিষ্যতে কোন পদ-পদবী ও মনোনয়ন দেয়া হবে না। বাংলাদেশকে নাকি নতজানু রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনা চলছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষ জানে কারা বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। কথায় কথায় যারা দেশের বিরুদ্ধে বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, যারা বিদেশি দূতাবাসের বন্ধ দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষা করে, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ করে, তারাই বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
বিএনপিই তাদের কর্মকান্ডের দ্বারা বিদেশিদের কাছে দেশের ইমেজ নষ্ট করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অপরদিকে আওয়ামী লীগ দেশের ইমেজ বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপিই ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশ ও জাতির স্বার্থ বিসর্জন দেয় এবং বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টা করে উল্লেখ করে তিনি বিএনপি নেতাদের স্মরণ করে দিয়ে বলেন, জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে শেখ হাসিনা সবসময় আপোষহীন। যদি তিনি জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব সমর্থন করতেন তাহলে ২০০১ সালেই ক্ষমতায় আসতে পারতেন।
বিএনপি’র গণ-আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণ এখন তাদের এ গণ-আন্দোলনের আহবানের ডাক শুনলে হাসে। কারণ ১৩ বছর বিএনপি বহুবার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। কিন্তু জনগণ তো দূরের কথা তাদের দলীয় নেতাকর্মীরাও সাড়া দেয়নি। ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশে এই মূহুর্তে গণ-আন্দোলনের বস্তুগত কোন উপাদান নেই, অতীতের মতো এবারও জনগণ আপনাদের ডাকে সাড়া দিবে না।’ সরকার নাকি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি একদিকে ভোটে আসবেনা, আবার নির্বাচিত হয়েও মির্জা ফখরুল ইসলাম সংসদে যাবে না। সংসদেতো বিএনপি’র প্রতিনিধিও রয়েছে।
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, তাহলে একদলীয় শাসন হয় কীভাবে? বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে যা করেছিলো জাতি তা ভুলে যায়নি। বিএনপি’র বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিলো বহুদলীয় তামাশা।