আন্দ্রে রাসেলের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের ঝড়ে উড়ে গেলো রংপুর
ই-বার্তা ডেস্ক ।। আগের ম্যাচের ভুলটা আজ আর করলেন না আন্দ্রে রাসেল। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হন ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডার। আগের ম্যাচে ১৯তম ওভারে বেনি হাওয়েলের বলে বেশ কিছু ডট দিয়েছিলেন, তাতে হেরে বসে কুমিল্লা। আজ যেন সব রাগ-ক্ষোভ ঝাড়লেন হাসান মাহমুদের ওপর। তার বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ১৪ বল আগেই ৬ উইকেটে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে জয় নিশ্চিত করে চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থাকা দল রংপুর রাইডার্স। ফলে বাকি ম্যাচগুলোতে যাই ঘটুক না কেন প্রথম কোয়ালিফায়ার থেকে তাদের বাদ পড়ার সুযোগ নেই। এমন সমীকরণই কী তাহলে নির্ভার করে তুলেছিল রংপুরকে? জিমি নিশাম বাদে পুরো দলই হতশ্রী ব্যাটিং করেছে। কিউই এই অলরাউন্ডারের ব্যাটে চড়ে কোনও রকমে ১৫০ রান তোলে রংপুর। গতকাল একই মাঠে ফরচুন বরিশাল ১৫১ রান করে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিল। আজও এমন কিছু ঘটতে পারে সেই আশায় ছিল ভক্তরা। কিন্তু সেটি হয়নি, শুরুতে লিটন কুমার দাস-মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ঝড়ের পর শেষে আন্দ্রে রাসেলের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে উড়ে যায় সাকিব আল হাসানরা।
১৫১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সুনীল নারিন ও লিটন দাস দেখে শুনেই শুরু করেছিলেন। ৩৬ রানের জুটির পর নারিনকে ১৫ রানে বিদায় করেন সাকিব আল হাসান। একই ওভারে এক বল বিরতি দিয়ে সাকিব তুলে নেন তাওহীদ হৃদয়কে। উড়িয়ে খেলতে গিয়ে রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরেন এবারের আসরের সেঞ্চুরিয়ান। এরপর তৃতীয় উইকেটে লিটন ও অঙ্কন মিলে গড়েন ৬৫ রানের জুটি। সাকিব আল হাসান লিটনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙার কিছুক্ষণ পর অঙ্কনকে ফেরান আবু হায়দার রনি। লিটন ৪২ বলে ৪৩ এবং অঙ্কন ২৯ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেছেন। এরপর বাকি পথটা অনায়াসেই পাড়ি দেন মঈন আলী ও আন্দ্রে রাসেল। তাদের দুই জনের ১৯ বলে ৪৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১৪ বল আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা। ১২ বলে ৪ চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন রাসেল।
রংপুরের সাকিব ২০ রান খরচায় শিকার করেন তিন উইকেট। বাকি একটি উইকেট নেন আবু হায়দার রনি। এর আগে টেবিলের দুইয়ে থাকা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের কাছে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুর রাইডার্স স্কোর বোর্ডে জড়ো করতে পারে ১৫০ রান। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে কেবল আলো ছড়িয়েছেন জিমি নিশাম। আজও প্রমাণ করেছেন কেন তাকে কার্যকরী অলরাউন্ডার বলা হয়। তার ব্যাটে চড়েই মূলত ১৫০ রানের পুঁজি পায় টেবিল টপাররা। নিশাম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। তার ৬৯ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯ চার ও ২ ছক্কায়। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব। এছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন কেবল রনি তালুকদার (১৪)। বাকিরা আউট হয়েছেন সিঙ্গেল ডিজিটে।
কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে তরুণ মুশফিক হাসান দারুণ বোলিং করেছেন। ১৮ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন তিনটি উইকেট। ক্যারিবীয় পেসার আন্দ্রে রাসেলও নিয়েছেন তিনটি উইকেট। এছাড়া ম্যাথু ফোর্ড দুটি এবং তানভীর ইসলাম একটি উইকেট শিকার করেছেন।