ফতুল্লায় আওয়ামী লীগের দুই দু’গ্রুপের সংঘর্ষঃ আহত ২০
ই- বার্তা ডেস্ক।। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটেছে। উভয় গ্রুপের ১৫-২০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। সংঘর্ষে এলাকায় থমথম অবস্থা বিরাজ করছে।
গতকাল শুক্রবার (২২ মার্চ) রাত ৯টার দিকে ফতুল্লার রামারবাগ মসজিদ এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দোকানপাটসহ বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে জুয়েল, দেলোয়ার, তমিজ, সজীব, আরিফ, আহাদ, সুমন, সুফিয়া, আলামিন, হারুন, রশিদ, আশরাফের নাম জানা গেছে। তাদের শহরের খানপুর তিনশ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার ও ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণ নিতে বেশ কিছুদিন ধরে গিয়াসউদ্দিন গ্রুপের সঙ্গে গোলাম মোস্তফা গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার মাদকবিরোধী একটি মিছিল চলাকালে মোস্তফা গ্রুপের এক সদস্যকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে গিয়াসউদ্দিনের লোকজন। তার জের ধরে মোস্তফা গ্রুপের সদস্যরা লাঠিসোটাসহ পাইপ, রামদা ধারালো অস্ত্রশস্ত্রসহ হামলা চালায় গিয়াসউদ্দিন গ্রুপের লোকজনদের উপর।
এ নিয়ে দু’গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ১৫/২০ জন গুরুতর আহত হয়। এ সময় দোকানপাটসহ বেশ কিছু বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়।
এই বিষয়ে খানপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অমিত রায় বলেন, ফতুল্লা থেকে আসা আহতদের অধিকাংশই ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত। মাথায় ও পায়ে গুরুতর জখম হওয়া রোগীই বেশি। ৪ জনকে ঢাকায় রেফার্ড করেছি, বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ওই দু’গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। তারই জের ধরে শুক্রবার রাতে দু’গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
ই- বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম