‘মাদক থেকে বাংলাদেশকে রক্ষায় তিনভাবে কাজ করা হচ্ছে’
ই- বার্তা ডেস্ক।। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মন্তব্য করেছেন, তরুণরা সবচেয়ে বেশি মাদকের ঝুঁকিতে রয়েছে। মাদক ব্যবহারকারীদের বেশিরভাগের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। মাদক চোরাচালান এবং পরিবহনের কাজে শিশু ও মহিলাদের ব্যবহার করা হচ্ছে, যা খুবই ভয়ঙ্কর। মাদকের ভয়াবহতা দূর করতে বেশ কিছু দ্বি-পাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (ডিএনসি) ৩০তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক নির্মূলে সবাই মিলে কাজ করা হচ্ছে। মাদকের ভয়াল থাবা থেকে বাংলাদেশকে রক্ষায় তিনভাবে কাজ করা হচ্ছে। চাহিদা ও সরবরাহ কমাতে এবং সর্বোপরি মাদকাসক্তদের পুনরায় কর্মক্ষম করতে নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে কাজ করছি। দেশের কারাগারের ধারণ ক্ষমতা ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে। এর বিপরীতে ৮০ হাজারের ওপর বন্দি রয়েছে। এই বন্দিদের বেশিরভাগই মাদকের আসামি। মাদক মামলা নিষ্পত্তির জন্য আইন সংশোধন ও আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি প্রক্রিয়াধীন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মাদকের চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মাদক পাচার হওয়ার পর অবশিষ্ট অংশ থেকে যাচ্ছে। মিয়ানমার বারবার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও কাজ করছে না। এর ফলে ইয়াবা নামক ভয়াল নেশার হাত থেকে আমাদের তরুণ-তরুণীরা রক্ষা পাচ্ছে না।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি মাদকের কুফল সংবলিত ডিজিটাল প্রচারণা কার্যক্রম ও হটলাইন সেবার উদ্বোধন করেন। হটলাইন নম্বর হচ্ছে- ০১৯০৮ ৮৮৮৮৮৮।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলমান থাকবে। ২৩ জেলার মাদক নিরাময় কেন্দ্র নেই। সেখানে নিরাময় কেন্দ্র স্থাপনে কাজ চলছে। মাদকের চাহিদা ও মাদক মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে কাজ করছে সরকার।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, মাদক অভিশাপ। মাদকের সঙ্গে অপরাধ জড়িত। ফলে মাদক নির্মূল করে সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।