মেজর হাফিজের বাসায় গিয়ে বিএনএম পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন সাকিব
ই-বার্তা ডেস্ক ।। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদের বাসায় গিয়ে কিংস পার্টিখ্যাত বিএনএমে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান। ছবি: সংগৃহীত।
নির্বাচনের আগে নতুন এ দলে যোগ দিতে মেজর হাফিজের হাতেই আবেদন ফরম তুলে দিয়েছিলেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। এ ধরনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে।
যে ছবিটি প্রকাশ্যে এসেছে, বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিনের বাসায় সাকিবের বিএনএমের সদস্য ফরম পূরণ করে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি পর্বের ছবি সেটি। জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঘটেছে এ ঘটনা। দলটির তৎকালীন সদস্য সচিব মেজর (অব.) মো. হানিফ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) কামরুল ইসলামও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে পরবর্তী সময়ে নতুন দলে না গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আওয়ামী লীগে যোগ দেন সাকিব আল হাসান।
ঘটনা প্রসঙ্গে মেজর হাফিজের দাবি, এক আওয়ামী লীগ নেতার প্রস্তাব নিয়ে সেদিন তার বাসায় গিয়েছিলেন সাকিব, তবে তিনি ওই প্রস্তাবে রাজি হননি।
এ বিষয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, নির্বাচনের আগে সরকারের নীতি নির্ধারকদের একজন আমাকে অনুরোধ করেন তৃণমূল এবং বিএনএম দুইটি দলের একটির চেয়ারম্যান হতে। আমি কিছুদিন চিন্তাভাবনা করে জানিয়ে দিয়েছি আমি বিএনপিতেই থাকব। এটা থেকেই সাকিব এসেছিল একসময়, একটি দলে যোগদান করতে। যেহেতু আমি আর আগ্রহ দেখাইনি সেহেতু সেও আর আগ্রহ দেখায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাকিব আল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, এইসব পুরোনো জিনিসে কী আছে? মন চাইলে নিউজ করেন, না চাইলে না করেন।
এদিকে বিএনএম সূত্র জানিয়েছে, দলের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিনের বনানীর বাসায় সাকিবের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে। হাফিজ উদ্দিন আহমদ দলের চেয়ারম্যান এবং সাকিব আল হাসান কো-চেয়ারম্যান হওয়ার কথা ছিল। তারা পরে সুবিধাজনক সময়ে যোগ দেবেন এই আশ্বাস দেওয়ায় দলটির কমিটি গঠনের সময় ওই দুটি পদ শূন্য রাখা হয়েছিল। পর্দার আড়ালে থেকেই হাফিজ উদ্দিন দলটির নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণে ভূমিকা রেখেছেন। যদিও শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক হিসাবনিকাশ না মেলায় দুজনের কেউই নতুন দলে যোগদান করেননি। তারা বিএনএমে যোগ না দেওয়ায় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।