রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মসজিদের মধ্যে মোয়াজ্জিন খুন
ই-বার্তা ।। উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পে ফজর নামাজের অজু করার সময় পেছন থেকে ইউছুফ জালালকে (৬০) ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মসজিদের মধ্যে এক মোয়াজ্জিন খুন হয়েছেন।
নিহত ইউসুফ লালের ছেলে মো. আইয়ুব জানান, তাদের নিজ বাড়ি মিয়ানমারের মংডু খুইল্যাপাড়া গ্রামে। প্রায় ৪ মাস আগে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। এখানে তাদের প্রতিপক্ষ বলতে কেউ নেই। তবে গভীর রাতে ক্যাম্পে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বুঝতে পারলে তিনি মাইকে ক্যাম্পবাসীকে সজাগ করে দিতেন। হয়তো এটাই এই ছিল তার বাবার অপরাধ।
বালুখালী ক্যাম্পের মাঝি লালু মিয়া জানান, ইউসুফ বালুখালী ক্যাম্পে আসা থেকে এ পর্যন্ত এমএসএফ হাসপাতালসংলগ্ন ক্যাম্পের মসজিদের মোয়াজ্জিন হিসেবে ৫ ওয়াক্ত আজান দিতেন। তিনি নামাজের আগে ও পরে মুসল্লিদের সঙ্গে আলোচনাকালে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার কথা বলতেন। হয়তো প্রত্যাবাসন ইস্যু নিয়ে ক্যাম্পের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তাকে পরিকল্পিতভাবে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করেছে। সন্ত্রাসীরা ওই ছুরিটি তার শরীর থেকে বের করতে পারেনি। ফলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
রোহিঙ্গা নেতা ডাক্তার জাফর আলম জানান, বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন হওয়ায় প্রত্যাবাসনবিরোধী গ্রুপের কয়েক শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসীচক্র বিভিন্ন ক্যাম্পে অস্ত্র নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে পারছে না। ১ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রত্যাবাসন নিয়ে ৩ জন রোহিঙ্গা খুন হয়েছে। এ ঘটনায় ২ জন গ্রেফতার হয়েছেন । তবে গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন ক্যাম্পে তৎপর রয়েছেন বলে তিনি জানান।
উখিয়া থানার ওসি মো. আবুল খায়ের জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার ছেলে মো. আইয়ুব বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।