সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু, বাড়ছে ভোটকেন্দ্র

ই-বার্তা।।  আনুষ্ঠানিকভাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে জাতীয় নির্বাচনের কাউন্ট-ডাউন শুরু হবে। তার আগে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে চাচ্ছে কমিশন। ইতোমধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ভোটার তালিকার সিডিও প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।

 

আগামী ৫ আগস্ট সারাদেশে খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করার জন্য মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ভোট কেন্দ্র বাড়ছে তিন হাজারের কাছাকাছি। আগামী ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। চূড়ান্ত ভোট কেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ হবে ভোট গ্রহণ তারিখের ২৫দিন আগে। বৃহস্পতিবার কমিশন সচিবালয় থেকে পাঠানো এক পত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।এ বিষয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আগামী অক্টোবরের শেষে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য আগের ভোট কেন্দ্রের তালিকা আমাদের কাছে রয়েছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বা অন্য কোনো কারণে এই তালিকার কোনো ভোটকেন্দ্র বিলুপ্ত হয়ে গেলে বা ভোটার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে কোথাও নতুন ভোট কেন্দ্র স্থাপন করতে হলে তার ব্যবস্থা করতে।

 

আগামী মাসের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে। এছাড়াও আইন-বিধিতে কোনো সংস্কার আনার প্রয়োজন আপাতত না থাকলেও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনী আসতে পারে। বিগত পাঁচ বছরে প্রায় এক কোটি ২২ লাখ ভোটার বেড়ে যাওয়ার কারণে এবার ভোটকেন্দ্রও বাড়বে। একই সঙ্গে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাও বাড়ছে। গড়ে আড়াই হাজারের কাছাকাছি ভোটারের জন্য একটি করে ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। দেশে বর্তমান ভোটার ১০ কোটি ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৩৮১ জন। সে হিসেবে ৪০ হাজারের উপরে ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এ কারণে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার সংখ্যাও হবে গত সংসদ নির্বাচনে নির্ধারিত সংখ্যার চাইতে ৬০ হাজার বেশি।ভোটকেন্দ্রের নীতিমালায় বলা হয়েছে- গড়ে ৬০০ পুরুষ ভোটারের জন্য একটি ও ৫০০ নারী ভোটারের জন্য একটি করে ভোট কক্ষ নির্ধারণ করতে হবে। নির্বাচনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানগুলোয় ভোটকেন্দ্র স্থাপনে যতদূর সম্ভব বিরত থাকতে হবে।