ভয় হয়, কাকে বিশ্বাস করব?

ই-বার্তা ।।  মডেল ও অভিনেত্রী ‘মোনালিসা’। বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে ছোট পর্দার সব জায়গাতেই এক সময় যার ছিলো অবাদ বিচরণ। কিন্তু হুট করেই সব কিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে বিদেশে পাড়ি জমান তিনি। কিন্তু পহেলা বৈশাখে সবাইকে চমকে দিলেন এই অভিনেত্রী। প্রায় দুই বছর পর আবারো ঢাকায় এলেন জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মোনালিসা।

পহেলা বৈশাখে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে শাহীন হলে ছোট পর্দার শিল্পী আর কলাকুশলীদের এক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই আয়োজন করেছিল টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রোডিউসার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ডিরেক্টরস গিল্ড, অভিনয় শিল্পী সংঘ, নাট্যকার সংঘ, প্রেজেন্টারস প্ল্যাটফর্ম অব বাংলাদেশ আর টেলিহোম। আর এই অনুষ্ঠানেই মোনালিসাকে দেখে সবাই অবাক হন।

তার বর্তমান কর্মস্থল সুদূর আমেরিকা থেকে বৃহস্পতিবার সকালে দেশে ফিরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘নিজের দেশে ফেরার জন্য সব সময় অপেক্ষা করে থাকি। নিজের মধ্যে দেশে ফেরার একটা টান অনুভব করি। হ্যালো বাংলাদেশ, আমি এসেছি।’ ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় তারকা এখন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। আজ সোমবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে কথা হলো মোনালিসার সঙ্গে।

দেশে আসার পর বাংলাদেশের একটি দৈনিক পত্রিকাকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। জানান তার বর্তমান ব্যস্ততাসহ নানা কথা। বিডি২৪লাইভের পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো।

কেমন আছেন?
খুব ভালো। আপনারা?

জি, আমরাও ভালো আছি। দেশে কবে এসেছেন?
গত বৃহস্পতিবার।

এবার কত দিন পরে এলেন?
সর্বশেষ এসেছিলাম ২০১৬ সালে। তখন তিন মাস ছিলাম।

তখন তো টিভির জন্য কয়েকটি কাজ করেছিলেন।
হ্যাঁ, এবারও ঢাকায় আসার আগেই কয়েকজন পরিচালকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁদের কাজগুলো করতে হবে। নাটক আর টেলিছবি। এর আগে যখন এসেছিলাম, তখন আমার পরিবারকে তেমন সময় দিতে পারিনি। তবে এবার খুব বেশি কাজ করব না। পরিবারকে সময় দেব, ঘুরব, বেড়াব, মজার মজার খাবার খাব। দারুণ কিছু স্মৃতি সঙ্গে নিয়ে ফিরে যাব।

কত দিন থাকবেন?
মাস চারেক থাকার পরিকল্পনা আছে।

যুক্তরাষ্ট্রে আপনি কোথায় আছেন?
নিউইয়র্কের কুইন্স শহরে।

সেখানে কী করছেন?
কসমেটিকস ব্র্যান্ড সেফোরার সঙ্গে অনেক দিন থেকে আছি। সেখানে সিনিয়র মেকআপ আর্টিস্ট ছিলাম। এখন পদোন্নতি হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানে এখন আমি বিউটি অ্যাডভাইজার। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।

যুক্তরাষ্ট্রে নাটক কিংবা টেলিছবির কাজ করতে পারছেন?

একদমই না। ওটা সম্ভব না। আমি ফুলটাইম জব করছি। ইচ্ছা থাকলেও এর বাইরে কিছু করা সম্ভব না। সেখানে নাটক-টেলিছবি তৈরি মোটেও সহজ ব্যাপার না। অনেক খরচের ব্যাপার। কেউ কেউ হয়তো চেষ্টা করেন, কিন্তু যা খরচ হয়, সেটা উঠিয়ে আনা কঠিন হয়ে পড়ে। আর সেখানে নিজের কাজটাকেই আমি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আর এই কাজটা আমি উপভোগ করছি।

কুইন্সে আপনার সঙ্গে আর কে আছেন?
কেউ নেই। আমি একাই থাকি। সেখানে অনেক বাংলাদেশি আছেন।

২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কপ্রবাসী ফাইয়াজ শরীফের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।
বিয়েটা ছিল আমার জীবনের একটা বড় দুর্ঘটনা। বিয়ের দুই বছর পরই আমাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর ২০১৬ সালে আমি ঢাকায় এসেছিলাম।

আবার বিয়ে করার ব্যাপারে কিছু ভেবেছেন?
বাংলাদেশে এলে এই কথাটা বেশি শুনতে হয়। কিন্তু একবার তো অনেক ঝামেলা পোহাতে হলো। ভয় হয়। কাকে বিশ্বাস করব? একা আছি, ভালোই আছি।

দেশে এসেছেন। বড় কিছু করার সম্ভাবনা আছে?
এখন শুধু বলব, সবাইকে একটা বড় চমক দেব। এ ব্যাপারে এখন কিছুই বলব না। প্লিজ, একটু অপেক্ষা করুন।