গাইবান্ধায় ৬ বছরের এতিম শিশুকে ধর্ষণ
ই- বার্তা ডেস্ক।। গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের পশ্চিম কুপতলা মধ্যপাড়া গ্রামে ছয় বছর বয়সী প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশুটি অসুস্থ অবস্থায় এখন গাইবান্ধার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ধর্ষণের শিকার শিশুটি স্থানীয় মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
সূত্র থেকে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার শিশুটির জন্মের তিন মাস পর তার বাবা মোকছেদুল ইসলাম মারা যায়। পাঁচ মাস পর তার মা লাবণী বেগম অন্যখানে বিয়ে করে চলে যান। ফলে এতিম শিশুটি তার দাদির বাড়ি পশ্চিম কুপতলা মধ্যপাড়া গ্রামের বাড়িতে থেকে প্রতিপালিত হয়। দাদির কথা অনুযায়ী রোববার সন্ধ্যায় টর্চ লাইট নিয়ে আসার জন্য প্রতিবেশী আইয়ুব খানের ঘরে যায় শিশুটি। এ সময় ঘরে থাকা আইয়ুব খানের বখাটে ছেলে শাকিল মিয়া শিশুটিকে মুখ চেপে ধর্ষণ করে। পরে চাকু দিয়ে ভয় দেখিয়ে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়।
শিশুটি বাড়িতে এসে সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে দাদি জিজ্ঞাসা করলে ধর্ষণের ঘটনাটি জানায়। ওই রাতেই স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হলে শাকিল মিয়ার পরিবার হুমকি দিয়ে তাদেরকে বিদায় করে দেয়। পরে অসুস্থ শিশুটিকে গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে ধর্ষণের শিকার শিশুটির দাদী বাদী হয়ে সোমবার রাতে চারজনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা করেন।
এই বিষয়ে গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালের গাইনি বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. তাহেরা আক্তার মনি বলেন, মঙ্গলবার শিশুটির মেডিকেল টেস্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। শিশুটির কিছু সমস্যার আলামত পাওয়া গেছে।
সদর থানা পুলিশের ওসি খান মো. শাহরিয়ার এ ব্যাপারে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা করার পর অপরাধীকে গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তবে অভিযুক্ত শাকিল মিয়ার বাবা আইয়ুব খানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
ই- বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম