চীনের উইঘুর নীতির পক্ষে সৌদি যুবরাজের সমর্থন
ই-বার্তা ডেস্ক।। চীন সফরে গিয়ে দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিম উইঘুর সম্প্রদায়ের সঙ্গে সরকারের জবরদস্তিমূলক আচরণের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান চীনের উপ প্রধানমন্ত্রী হ্যান ঝেং।
অনলাইন নিউজ উইকে বলা হয়েছে, এ জ্বালানী উৎপাদন ও রাসায়নিক শিল্প নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কিছু চুক্তিও সই হয়। এই সফরে চীনের উইঘুর নীতির স্বপক্ষেও বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ বিন সালমান।
খবরে বলা হয়, মুসলিম এই সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক সদস্যকে বিশেষ বন্দিশিবিরে রেখে ‘শিক্ষা’ দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে মোহাম্মদ বিন সালমানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘নিজের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী ও অ-চরমপন্থায়ন কাজ চালিয়ে যাওয়ার অধিকার চীনের রয়েছে।’
উল্লেখ্য, এসব বন্দিশিবিরে প্রায় ১০ লাখ উইঘুর মুসলমানকে বন্দি রেখেছে চীন। সেখানে তাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে ‘শিক্ষা’ দেওয়া হচ্ছে।
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ লিখেছে, ‘জিনজিয়াং স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলে তুর্কি মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে দমনমূলক নীতি চালিয়ে আসছে চীন সরকার। ২০১৬ থেকে এসব প্রচেষ্টা বৃদ্ধি পেয়েছে। তখন তিব্বতে কম্যুনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি চেন কুয়াংগুকে জিনজিয়াং-এর দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়।’
বিদেশে অবস্থানরত উইঘুর গোষ্ঠীগুলো মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি অনুরোধ রেখেছিল, মোহাম্মদ বিন সালমান যেন তার সরকারি এই সফরে এসব বন্দিশিবির নিয়ে চীনকে চাপ দেন। কিন্তু তরুণ যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতায় আসার পর সৌদি আরবের নেতৃত্ব মুসলিম আবেগের চেয়ে বাস্তবতার দিকেই বেশি নজর দিয়েছে।
ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু