দেশের ৬০ ভাগ ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ
ই-বার্তা ডেস্ক ।। বাংলাদেশে দিন দিন ভূমিকম্প প্রবণতা বাড়ছে। তবে সে অনুযায়ী নেই প্রস্তুতি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের মতে, দেশের ৬০ ভাগ ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ।
ছোট ছোট ভূমিকম্পকে বড় দুর্যোগের পূর্বাভাস আখ্যায়িত করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন প্রস্তুতিই জরুরি। পুরানো ভবন সংস্কার করার পাশাপাশি বুয়েটের স্থপতিরা বলছেন, বেশী রড দিয়ে নতুন ভবনের পিলার ও বিম এমনভাবে বানাতে হবে, যেটা মচকাবে কিন্তু ভাঙবে না।
গত দুই তিন বছর ধরে প্রায়ই দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৪ থেকে ৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের মতে, ভূতাত্ত্বিকভাবেই এ অঞ্চল এখন ভূমিকম্প ঝুঁকিতে আছে। তবে এতে আতঙ্কিত না হয়ে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলেন, আমাদের এখানে টেকটনিক প্লেট আছে। সেখানে মাঝে মাঝেই সংঘর্ষ হয়। পুরো বাংলাদেশ ঝুঁকির মধ্যে আছে। আমাদের উচিত সতর্ক থাকা।
অধ্যাপক ড মেহেদী মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ‘ভবনের রড এমনভাবে দিতে হবে যেনো তা দুলবে কিন্তু ভেঙ্গে পড়বে না। প্রতি স্কয়ার ফিটে ৫০ থেকে ৬০ টাকা খরচ করলেই মজবুত করে বানানো সম্ভব।’
অধ্যাপক ড মাহবুবা নাসরিন বলেন, ‘ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নির্ভর করে সেখানকার আবাসন ব্যবস্থা কেমন সেখানকার রাস্তাঘাট কেমন যে স্থাপনাগুলি ঝুঁকিপূর্ণ সেগুলো সংস্কার করা। যারা বিল্ডিং কোড অনুসরণ করেনি তাদের চিহ্নিত করা উচিত। ‘
নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণ ও পর্যাপ্ত প্রস্তুতির কারণে ২০১০ সালে চিলিতে ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পরও মারা গিয়েছিলো মাত্র ৫০০ মানুষ। যেখানে একই বছর প্রস্তুতির অভাবে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে হাইতিতে নিহত হয়েছিলো তিন লাখের বেশী।
ই-বার্তা / তামান্না আলী প্রিয়া