প্রবাসীকে উদ্দেশ করে আনসার কর্মকর্তার গালি “যোগ্যতাহীন বালের কামলা”
ই-বার্তা ।। বেশি ওজনে কারনে এক প্রবাসী তার ব্যাগ রেখেছিলেন বিমানবন্দরের টার্মিনাল এর পাশে। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এক আনসার কর্মকর্তা ও বিমানবন্দর পুলিশের এক কর্মকর্তা বাজে ব্যবহার শুরু করেন ঐ প্রবাসীর সাথে। এক পর্যায়ে ” যোগ্যতাহীন বালের কামলা” ও “বালের কামলা ” … যোগ্যতা নাই বিধায় তারা নাকি বিদেশ গিয়ে “কামলা” দিয়ে খায় । বলে গালিগালাজ করে। এসময় ঘটনাস্থলে থাকা সবাই আনসার কর্মকর্তার কথার প্রতিবাদ জানান। এই দৃশ্য ধারন করে ঘটনাস্থলে থাকা এক ব্যাক্তি সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এই ঘটনার নিন্দা জানান।
নিচে তার স্ট্যাটাসের হুবহু দেওয়া হলো।
ভিডিও
Posted by আরাফাত আহম্মেদ on Saturday, December 16, 2017
সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। দয়া করে লাইক নয় শেয়ার করবেন। সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। দয়া করে লাইক নয় শেয়ার করবেন। গতকাল ১৫/১২/২০১৭ ইং তারিখে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এক প্রবাসী ভাইয়ের ব্যাগ রাখা কে কেন্দ্র করে ঐ প্রবাসী ভাইকে “” যোগ্যতাহীন বালের কামলা”” বলে গালি দিয়েছে বিমান বন্দরে দায়িত্বে থাকা এই পুলিশ ও আনসার কর্মকর্তা। প্রবাসী ভাইরা নাকি “বালের কামলা ” … যোগ্যতা নাই বিধায় তারা নাকি বিদেশ গিয়ে “কামলা” দিয়ে খায় । আর ওনারা যোগ্যতা সম্পন্ন লোক তাই ওনাদের পজিশন অনেক বড়।
বেশি ওজনে কারনে লোকটি তার ব্যাগটা বহন করতে পারছিল না। এক পার্শ্বে রেখেছিল ব্যাগটা।এই সামান্য কারণে এত খারাপ ব্যবহার করতে হবে? ভিডিওটা করার আগে ঐ প্রবাসী ভাইকে এসব কথা এবং গালিগালাজ করে চুড়ান্ত ভাবে অপমানিত করে দায়িত্বে থাকা ঐ দুই কর্মকর্তা । তা দেখে আমি ভিডিওটা করতে যাই , এমন সময় জনগন ঐ দুই কর্মকর্তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
কত বড় বেইমান জাতি আমরা। যাদের উছিলায় দেশের অর্থনীতি গতিশীল । দেশের রিজার্ভ রয়েছে মজবুত। দেশের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় ভুমিকা রাখে যারা, আজ তাদের সাথেই আমরা এই ব্যবহার করছি ?? ছোট বেলায় পড়েছিলাম স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা অনেক কঠিন। কিসের বিজয় দিবস পালন করেন আপনি ??
কোটি টাকা খরচ করে ঢাক ঢোল পিটিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত হওয়া ৭১ সেই শহীদ দের আমরা সম্মান দেখাই। তাদের কবর বা স্তম্ভের পাশে ফুল রেখে তাদের স্বরন করি। কিন্তু যারা জীবন্ত দেশের অর্থনীতি সচল রাখার জন্য, পরিবারের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য মাসের পর মাস, বছরের পর বছর দেশ ও পরিবারের জন্য নিজের জীবন যৌবনকে শহীদ করে দিচ্ছে তাদের জন্য কি এতটুকু সম্মান ও প্রাপ্য নয় কি? ?
তাদের ঐ ত্যাগের বিনিময়ে তারা আমাদের কাছে বিনিময়ে একটু সম্মান ও কি পেতে পারেনা? বিজয়ের দিনে প্রশ্ন থাকলো জাতির কাছে। সৃতিসৌধ যাওয়া এখন আমাদের একটা ফ্যাশনে রুপ নিয়েছে। কিন্তু সাভারে যাওয়ার আগে একবার হলেও এই বিমান বন্দর ঘুরে যান। দেখে যান, কত কষ্ট নিয়ে মা বাবা ছেলে মেয়ে পরিবার ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে তাদের। লুকিয়ে কান্না করতে গিয়েও তাদের চোখের জ্বল ধরা পড়ে যায় অনেক সময়।
অনেকে কষ্ট বুকের চাপা দিয়েই বিদায় নেয় পরিবার থেকে। যখন দেখি যাওয়ার বেলায় মা বাবা ছেলেকে বুকে জড়িয়ে রাখে, স্ত্রী তার ভালবাসার মানুষটির দিকে অপলক ছেয়ে থাকে । জমে থাকে না বলা অনেক কথা। তখন চিন্তা করি এই জালেমরা এই ত্যাগী মানুষ গুলোর সাথে কিভাবে এই খারাপ ব্যবহার গুলো করে। কুকুরকেও মানুষ আরো ভাল সম্মান দেয়। কিন্তু বিমানবন্দরের এই কর্মকর্তারা সেই সম্মানটুকুও প্রবাসী ভাইদের কে দেয়না।