জনগণের ভোটেই ক্ষমতায় আসতে হবে :মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশে নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপ থাকবে না বলে ওবায়দুল কাদের যা বলেছেন, এই বক্তব্যের কারণ জানতে চেয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জানতে চেয়েছেন, তিনি কেন ভারতের হয়ে এই কথা বলছেন।

 

বিএনপি মহাসচিব বলছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভারতের ‘পক্ষে’ কথা বলছেন। এই অধিকার তাকে কে দিয়েছে?

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক সভায় বক্তব্য রাখছিলেন ফখরুল। এর আয়োজন করে ‘সম্মিলিত বৌদ্ধ নাগরিক’।

গত ২২ থেকে ২৪ এপ্রিল ভারত সফর করে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সফরকে নিয়ে আলোচনা আছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এই সফরের বিষয়ে বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন হবে। বহুদল তাতে অংশগ্রহণ করবে। ভারত কি ক্ষমতায় বসাবে? তারা কি কখনও ক্ষমতায় বসিয়েছে? ৭৫ এর পরবর্তী সময়েও তারা আমাদের কোন বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করেনি। ২০০১ সালে আমরা হেরে গেছি। ভারত কি আমাদের জেতাতে চেয়েছে? তারা তো কোন হস্তক্ষেপ করেনি।’

আর ফখরুল বলেন, ‘ভারত থেকে ফিরে এসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য জনমনে প্রশ্ন তৈরি করেছে।’

‘কয়েক দিন আগে আওয়ামী লীগের বিরাট ১৯ জনের একটি টিম গিয়েছিল ভারতে সেই দেশের ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য। খু্ব ভাল কথা। আমরা এই ধরনের সফরকে সব সময় স্বাগত জানাই। কারণ এতে করে দুই দেশের মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হয়।’

‘আমিও তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে নিয়ে কিছুদিন আগে চীনে গিয়েছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা ভারত থেকে এসে কী বললেন, তারা বললেন, ভারত বলেছে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে ভারত ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করবে না। কথাটার অর্থ কী?’

‘কেউ কি বলেছে ভারত বাংলাদেশের নির্বাচনে ইন্টারফেয়ার করবে? ওনাকে (ওবায়দুল কাদের) কে কি ভারত দায়িত্ব দিয়েছে এই কথাটি বলার জন্য?’

‘এটা আমরা এখন পর্যন্ত বুঝতে পারছি না, দায়িত্ব তিনি (কাদের) কার কাছে থেকে পেলেন?’।

‘ভারতের পক্ষ থেকে তিনি বলছেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে ভারত ইন্টারফেয়ার করবে না। আমার কাছে এটা মনে হয়েছে তার এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা একটা বড় সমস্যার সৃষ্টি করবে।’

‘কারণ ভারতের পক্ষে কথা বলার অধিকার তাকে (কাদের) কেউ দেয়নি। এটা গোটা বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে’- বলেন ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা সবসময় মনে করি ভারত আমাদের সবচেয়ে নিকটতম বন্ধুরাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকার কথা আমরা সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বীকার করি। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সু-সম্পর্ক থাকুক এটা আমরা সবসময় চাই।’