সেতু চেয়ে শিক্ষার্থীর চিঠি, বাস্তবায়ন হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস

ই-বার্তা ডেস্ক।।  খরস্রোতা পায়রা নদীতে ট্রলার ডুবে মা-বাবাকে হারানোর আশঙ্কায় নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ করে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়ে দেশজুড়ে আলোচনায় এসেছিল পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের তখনকার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শীর্ষেন্দু বিশ্বঙ্কা। প্রায় তিন বছর পর বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে তাকে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের।  

‘বাবা-মাকে হারাতে চাই না; তাদেরকে প্রচণ্ড ভালোবাসি’—তিন বছর আগে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে এমন আকুতি জানায় শীর্ষেন্দু। দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে সেতু নির্মাণের ওই অনুরোধের চিঠি মুগ্ধ করে প্রধানমন্ত্রীকে। পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলায় পায়রা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে শীর্ষেন্দুকে চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নদীর সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, নকশা তৈরিসহ আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে তিন বছর পর শীর্ষেন্দুর ভালোবাসা ও প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস বাস্তব রূপ পেতে যাচ্ছে। পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জ সড়কে পায়রাকুঞ্জে এক হাজার ৬৯০ মিটারের সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। সেতুটি নির্মাণে খরচ হবে এক হাজার ১৫৩ কোটি টাকা। 

গত ৯ ডিসেম্বর পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত এক আন্ত মন্ত্রণালয় সভায় জানানো হয়, সেতুটি নির্মাণে অর্থায়ন করতে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হলেও গত তিন বছরে তেমন সাড়া মেলেনি। তাই রাষ্ট্রীয় কোষাগারের টাকা দিয়েই সেতুটি নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি এখন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায়। 

এ ব্যাপারে আবেগে আপ্লুত হয়ে শীর্ষেন্দু বলে, ‘আমি অভিভূত। আমি অত্যন্ত আনন্দিত, খুশি। আমার মতো একজন শিক্ষার্থীর চিঠি আমলে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পায়রা নদীতে সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সেতুটি নির্মাণ করা হলে এলাকার সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব হবে।’ শীর্ষেন্দু এখন একই স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছে।

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু