সোনারগাঁওয়ে স্বর্ণভর্তি পাতিল পাওয়ার খবরে উৎসুক জনতার ভিড়

বুধবার বিকেলে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মিস্ত্রি পাড়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। একটি পরিত্যক্ত নাগ মন্দির সংস্কার করতে গিয়ে শ্রমিকরা একটি বড় পাতিল আকৃতির বস্তু দেখতে পায়। এতে স্বর্ণ ভর্তি রয়েছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। খবর শুনে ঘটনাস্থলে হাজার হাজার উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে একটি চাতকিসদৃশ পাথর উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে একটি নাগ মন্দির পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। মন্দিরটি পরিত্যক্ত থাকায় বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য জীবনী বেগম এটি দখলে নিয়ে বসবাস শুরু করে। পরে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি সংগঠন মন্দিরটিকে দখলমুক্ত করে পুনরায় পূজা-অর্চনা করার জন্য সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। বুধবার সকালে দু’জন শ্রমিক নিয়ে ওই সংগঠনের স্বপন চন্দ্র শীল সংস্কার কাজ করতে যান। সংস্কারের এক পর্যায়ে বিকেলে শ্রমিকরা মন্দিরের মেঝে খনন করার সময় কোদালের সাথে শক্ত কোনো বস্তুর আঘাত লাগে। শ্রমিকরা আগ্রহ নিয়ে কিছুটা খননের পর মাটির নিচ থেকে পাতিল আকৃতির শক্ত পাথরের কিছু অংশ বের হয়ে আসে।

এটি দেখে স্বপন চন্দ্র শীল শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দেয় এবং তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে বলেন। পরে শ্রমিকরা এলাকায় প্রচার করতে থাকে মন্দিরের ভেতরে মাটির নিচে স্বর্ণভর্তি পাতিলের সন্ধান পাওয়া গেছে। মুহূর্তে এ খবর ছড়িয়ে পরে চারদিকে। এতে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার উৎসুক নারী পুরুষ ও শিশু ঘটনাস্থলে ভিড় করে। পরিস্থিতি সামলাতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক, ইউপি সদস্য আবু দাইয়ানসহ সোনারগাঁও থানা পুলিশের দুটি দল ঘটনাস্থলে আসেন। পরে পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ওই শ্রমিকদের দিয়ে পুনরায় খনন করা হয়। খনন শেষে মাটির নিচ থেকে গোলকাকৃতির চাতকি সদৃশ একটি শক্ত পাথর বেরিয়ে আসে। পাথরটি উদ্ধার করে বুধবার সন্ধ্যায় মন্দিরের বাইরে নিয়ে এলে উৎসুক জনতা এটি এক নজর দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পাথরটি সোনারগাঁও থানায় নিয়ে আসেন।

খনন কাজের শ্রমিক আবুল কালাম ও শাহজাহান জানান, আমাদের মন্দির সংস্কার করার জন্য আনা হয়। শক্ত পাতিলাকৃতি দেখার পর আমাদের বের করে দিয়ে পরে কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বপন বাবু। তিনি রাতে খনন করবেন বলে জানিয়ে দেন। কিন্তু আমাদের সন্দেহ হলে বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানিয়ে দিই।