২৩ লাখ টাকা যৌতুকে মৃত পাত্র-পাত্রীর বিয়ে!

চীনের অনেক প্রদেশে বেশ কয়েক হাজার বছর ধরে আত্মার বিয়ের প্রচলন ছিলো। এর মধ্যে অন্যতম হেনান প্রদেশ। একবিংশ শতাব্দীর দিকে যখন বিজ্ঞানের যুগ, তখন ও চীনের সেই প্রাচীন রিতির ছেদ পড়েনি।

 

আর এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি মারা যাওয়া এক মেয়েকে তার বাবা-মা তিন বছর আগে মারা যাওয়া অপর এক ছেলের সাথে বিয়ে দিয়েছে। আর এ বিয়েতে যৌতুক হিসেবে পাত্রকে দিয়েছে ২৩ লাখ টাকা।এ ঘটনাটি ঘটেছে চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হেনান প্রদেশে।

 

চীনা গণমাধ্যমে এ বিয়ের ঘটনা প্রকাশের পর এই ভুতূড়ে বিয়ের ঘটনা ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।চীনা গণমাধ্যমগুলো তাদের খবরে বলছে, ২৭ হাজার মার্কিন ডলার অর্থাৎ প্রায় ২৩ লাখ টাকা যৌতুক দিয়ে এক দম্পতি তাদের মৃত কন্যার বিয়ে দিয়েছেন। আর পাত্র হিসেবে যে যুবককে ঠিক করা হয়েছে সে তিন বছর আগেই মারা গেছেন।

 

মৃত কন্যার বিয়েতে এতো যৌতুকের কারণ জানতে চাইলে ওই দম্পতি দাবি করেন এর ফলে তাদের পরিবার অভিশাপমুক্ত হবে।আর পাত্র লি লং লিউকোমিয়া ২০১৬ সালেই মারা গেছেন। আর ছেলের মৃত্যুর পর বৌ হিসেবে একটি সুন্দরী ও যোগ্য পাত্রী খুজঁছিলেন লি লিংয়ের মা।

 

অবশেষে দীর্ঘ দুই বছর পরে ছেলের বৌ খুঁজে পেয়ে খুশি মা। মেয়ের খোঁজ পাওয়ার পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিয়ের কথাবার্তা পাকা করে ফেলেন লি লিংয়ের মা।

 

প্রসঙ্গত, চীনের বেশ কিছু প্রদেশে কখনও কখনও এমনও হয় যে, হাসপাতালে হয়তো রোগে ভুগে অবিবাহিত পুত্র সন্তানের মৃত্যুর সংবাদে স্বজনেরা কান্না করছেন। সেই সময়েই মৃত আত্মার বিয়ের জন্য হাজির হয়ে গেছে কন্যা পক্ষ। কান্নাকাটির ফাঁকেই দেখা যায় দুই পরিবার বিয়ের কথা পাকাপাকি করে ফেলেন। এবং সেটা হাসপাতালের করিডোরে দাঁড়িয়েই।

 

তাদের বিশ্বাস, অবিবাহিত অবস্থায় সন্তান মারা গেলে সে আত্মার ভবিষ্যত তো খারাপই, সেই সঙ্গে গোটা পরিবারটিও অভিশপ্ত হয়ে যেতে পারে।উন্নতির চরম শিখরে উঠেও দেশটির বেশ কিছু অঞ্চলের মানুষ সাপ, ব্যাঙ খাওয়ার পাশাপাশি এমন অন্ধ কুসংস্কারে এখনও বিশ্বাস রাখেন।