কংগ্রেসের সাথে সমন্বয়ে রাজি নয় মমতা

ই-বার্তা ডেস্ক।।  লোকসভা ভোটের আগেও কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে বিজেপি-বিরোধী মঞ্চ তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বিজেপি-বিরোধিতার প্রশ্নে সংসদের ভিতরে-বাইরে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও রকম সমন্বয়ের রাস্তায় হাঁটতে চান না তিনি।  

কাল প্রধানমন্ত্রীর ডাকা নৈশভোজে যাচ্ছেন না তৃণমূলের সাংসদেরা। গত তিন সপ্তাহে, তিন বার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়ে তৃণমূল নেত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, কট্টর বিজেপি-বিরোধী অবস্থান বজায় রাখবে তাঁর দল।

গত কাল সোনিয়া গান্ধী সমস্ত বিরোধী দলের সংসদীয় নেতাদের ডেকেছিলেন সংসদীয় রণকৌশল নিয়ে আলোচনার জন্য। তৃণমূল তাতে যোগ দেয়নি। শুধু তাই-ই নয়, এসপি, বিএসপি-সহ অন্যান্য বিরোধী দলকে এই ধরনের বৈঠক সম্পর্কে সতর্কও করেছিল তারা। শেষ পর্যন্ত বৈঠকটি ভেস্তে যায়। তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ‘‘সবে নতুন লোকসভা শুরু হল। এখন প্রতিটি দল নিজেদের ইনিংস নিজেদের মতো করে শুরু করবে, এটাই তো কাম্য। সামনে কোনও ভোটও নেই। ফলে এখনই অন্য দলের সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই। আঞ্চলিক দলগুলি একলা চলে, নিজেদের মতো করে রাজ্যের সমস্যা নিয়ে লড়াই শুরু করুক।’’

তৃণমূলের পরামর্শ মেনে আগামী দিনে বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলি পৃথকভাবে বিজেপি-বিরোধিতায় এগোবে কি না, সেটা বলবার সময় এখনও আসেনি। কিন্তু রাজনৈতিক শিবিরে এই প্রশ্ন উঠছে যে মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এখন কি আরও বেশি করে বিরোধী শক্তিগুলির সমন্বয় প্রয়োজন নয় ? 

তৃণমূল সূত্রের পাল্টা যুক্তি, কংগ্রেস ক্রমশই কোণঠাসা হচ্ছে। রাজ্যে রাজ্যে তাদের সাবেক ভোটব্যাঙ্ক ক্ষীয়মান। এক সময় তারা বিভিন্ন রাজ্যের আঞ্চলিক আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করেছে। কিন্তু ক্রমশ এলিটতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করতে করতে আঞ্চলিক আবেগ থেকে তারা সরে গিয়েছে। জন্ম নিয়েছে দ্রাবিড় থেকে লোহিয়া আন্দোলনের। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলও তৈরি হয়েছে কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক ভেঙেই। ফলে তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক পরিসর ভাগ করে নিলে নিজেদেরই শক্তিক্ষয় হবে। 

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু