প্রথম সমকামী বাঙালি হিসেবে রোডিজে স্যান্ডি

নাম স্যান্ডি সাহা। অনেকেই হয়তো এই নামটার সঙ্গে পরিচিত নন, বিশেষ করে এটা বলছি এপার বাংলার মানুষের কথা। কিন্তু ওপার বাংলাতে এই নামটার সঙ্গে পরিচিত নন, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। বাঙালি সমকামী পুরুষ হিসেবে বেশ পরিচিত তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা স্যান্ডির বিভিন্ন কীর্তি-কলাপ দেখার জন্য সব-সময় মুখিয়ে থাকেন। ছোট থেকে বড় সবার মনে খুব অল্প সময়ের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন স্যান্ডি। ‌

এম টিভি রোডিজ যারা দেখেন তারা জানেন এটা কতটা কঠিন।

এবার এমটিভি রোডিজে দেখা যাবে স্যান্ডি সাহাকে। এবারই প্রথমবার কোনো বাঙালি সমকামী পুরুষকে এ ধরনের কঠিন চ্যালেঞ্জ গেমে অংশ নিতে দেখা গেল। এমটিভির এই শো যারা দেখেন, তা অবশ্যই জানেন কতটা কঠিন পরিস্থিতি অতিক্রম করার পর অন্য প্রতিযোগীদের ফাইনাল রাউন্ডে যেতে হয়। আর সেই রকম একটি খেলায় অংশ নেয়ার সাহস দেখিয়েছেন বাঙালি ছেলে স্যান্ডি সাহা। এবার তাকে রোডিজের ১৬তম পর্বের ভয়াবহ-কঠিন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে।

রোডিজে অংশ নিয়ে স্যান্ডি তার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন গণমাধ্যমে তিনি জানান, সবাইকে একবার না একবার রোডিজে অংশ নেওয়া উচিত। এতো সুন্দর অভিজ্ঞতা হয়েছে যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। রোডিজের বিচারকেরা (‌ রণবিজয়, নেহা ধুপিয়া, প্রিন্স, রাফতার এবং নিখিল চিনাপ্পা)‌ সকলেই স্যান্ডির সঙ্গে হিরো আলমের ভিডিও দেখেছেন, তাই স্যান্ডি তাদের কাছে একটা পরিচিত মুখই ছিল। স্যান্ডি ছিলেন নেহা ধুপিয়ার দলে।

তিনি জানান, স্যান্ডির জীবনে রোডিজের অভিজ্ঞতা জীবনের সেরা অভিজ্ঞতা।

স্যান্ডি আরো বলেন, ‘‌জীবনের সেরা দিনগুলি আমি রোডিজে কাটালাম। জিপে করে শিলং থেকে কাজিরাঙা যাওয়ার পথে মাঝখানে গাড়ি থামিয়ে জোরে গান চালিয়ে দেওয়া হয় এবং সব প্রতিযোগীরা নাচতে শুরু করে দেয়। বেশির ভাগ সময়েই গাড়িতে আমি নেহা ম্যাডামের পাশেই বসতাম‌।’

তিনি বলেন, ‘‌খেলাকে আরো কঠিন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হতো। ভোট আউটের সময় সবচেয়ে নোংরা খেলা চলত প্রতিযোগীদের মধ্যে। প্রথম প্রথম খেলাটা মজাদার লাগলেও যত দিন বাড়তে থাকবে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে যেতে থাকবে।’‌ স্যান্ডি রোডিজের আধা সফর পর্যন্ত যেতে সফল হয়েছেন।

স্যান্ডি সাহা রোডিজে গিয়ে প্রচুর নতুন বন্ধু বানিয়েছেন এবং চুটিয়ে হ্যান্ডসম ছেলেদের সঙ্গে ফ্লার্টিং করে গিয়েছেন। ওপার বাংলার প্রথম বাঙালি হিসাবে রোডিজে অংশ নেওয়ার জন্য স্যান্ডির সাহাকে অভিনন্দন।