গৃহযুদ্ধের পথে ভেনিজুয়েলা
ই-বার্তা ডেস্ক।। ভেনিজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুয়াইদো বলেছেন, সেনাবাহিনী তার সঙ্গে আছে। মাদুরোর উত্খাত এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। যদিও সরকার এ অভ্যুত্থানের দাবি নাকচ করে দিয়েছে।
একটি বিমান ঘাঁটিতে গুয়াইদো ও মাদুরো সমর্থক সেনাবাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এর মাধ্যমে দেশটিতে নতুন একটি সংকট সৃষ্টি হলো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
গতকাল কারাকাসে বিরোধী নেতা লোপেজের সঙ্গে গুয়াইদো সাক্ষাত্ করেছেন। লোপেজ বলেছেন, গুয়াইদোর সমর্থক সেনাবাহিনী তাকে মুক্ত করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে লোপেজকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তাদের দুইজনের সাক্ষাত্ অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। লা কারলোতা বিমান ঘাঁটিতে গুয়াইদো ভাষণ দিয়েছেন। এ সময় গুয়াইদোর চারপাশে সেনা পোশাক পরিহিত যুবকদের দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মাদুরো সমর্থক সেনাবাহিনী আসার আগেই গুয়াইদোর সমর্থক সেনা সদস্যদের রাস্তার পাশে প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়। মাদুরোর সেনাবাহিনী এসে গুয়াইদোকে লক্ষ্য করে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। এরপর দুই পক্ষের সেনাদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। তবে এতে কোনো হতাহত হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
মাদুরোকে উত্খাতে ‘অপারেশন লিবার্টি’ শুরুর ঘোষণা দিয়ে গুয়াইদো বলেছেন, মাদুরোর বিদায়ের পালা শুরু হয়ে গেছে। সামরিক বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছি। তিনি সেনাবাহিনীসহ সকল জনগনকে রাস্তায় নামার আহবান জানিয়েছেন।
লোপেজও গুয়াইদোর সুরে সুর মিলিয়েছেন। বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, সেনাবাহিনী বিভক্ত হয়ে গেলে দেশে গৃহযুদ্ধ বেধে যেতে পারে। আজ বুধবার বড় ধরনের সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন গুয়াইদো।
এদিকে গুয়াইদোর আহবানের পরও দেশে সামরিক বাহিনীর বড় ধরনের কোনো তত্পরতা লক্ষ্য করা যায়নি উল্লেখ করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির প্যাডরিনো অভ্যুত্থানের চেষ্টা প্রত্যাখান করেছেন। তিনি বলেন, সংবিধান এবং বৈধ সরকার রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী এখনো প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
তিনি জানান, সারাদেশে সামরিক বাহিনী স্বাভাবিক অবস্থায় আছে। আইনশৃঙ্খলার কোনো অবনতির খবর নেই। তথ্যমন্ত্রী জর্জ রদ্রিগুয়েজ জানিয়েছেন, ছোট্ট একটি গ্রুপ অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালালেও তা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে।
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু