গ্রেফতার আতঙ্কে মোহাম্মদপুরের রাজীবসহ এক ডজন নেতা
ই-বার্তা ডেস্ক।। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান ওরফে পাগলা মিজান গ্রেফতার হওয়ার পর মোহাম্মদপুর এলাকার অবৈধ দখল ও চাঁদাবাজিতে জড়িত অনেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন।
তাদের ধরতে ইতিমধ্যে র্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইং ছাড়াও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা এলাকায় খোঁজখবর অব্যাহত রেখেছেন। ছোট কয়েকটি অভিযানও চালিয়েছেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তা ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা উত্তরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা তারেকুজ্জামান রাজীব, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সলিমুল্লাহ সলু, বর্তমান কাউন্সিলর নূরুল ইসলাম রতন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা চাঁন মিয়া, আক্কাস হাজি, আলা বকস, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তুহিন, যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা কামরান প্রিন্স মহব্বতসহ প্রায় এক ডজন নেতার বিরুদ্ধে অবৈধ দখল, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে এলাকায় এসব ব্যক্তিকে খুব একটা দেখা যায় না। তারা অনেকেই গ্রেপ্তারের ভয়ে আত্মগোপনে আছেন বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদপুর এলাকার আওয়ামী লীগ-যুবলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, কাউন্সিলর রাজীবের বাড়ি ভোলায়। তার বাবা তোতা মিয়া ও চাচা ইয়াসিন মিয়া মোহাম্মদপুর এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। রাজীব ছিলেন টং দোকানদার। একটা সময় তিনি যুবলীগের রাজনীতি শুরু করেন। এ সময় তিনি কয়েক তরুণের সমন্বয়ে মোহাম্মদপুর এলাকায় মোটরসাইকেল বাহিনী গড়ে তোলেন। সাবেক একজন প্রতিমন্ত্রীর আশীর্বাদে তিনি ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন পান। জবরদস্তি করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বজলুর রহমানকে পরাজিত করে কাউন্সিলর হন। এরপরই দ্রুত ‘ভাগ্য বদল’ হয় রাজীবের। চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হন রাজীব ও তার পরিবারের লোকজন। তার দখল ও চাঁদাবাজিতে সহযোগী হিসেবে কাজ করেন যুবলীগ নেতা শাহ আলম জীবন, ‘সিএনজি কামাল’, আশিকুজ্জামান রনি, ফারুক ও রাজীবের শ্যালক ইমতিহান হোসেন ইমতিসহ অনেকে।
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু