প্রশ্ন ফাঁস চক্রের ২৮ সদস্য আটক
ই-বার্তা ডেস্ক ।। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস চক্রের ২৮ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতি ও শুক্রবার মাদারীপুরের টেকেরহাট, বরগুনা ও নড়াইল থেকে তাদের আটক করা হয়। দেশের ১২ জেলায় শুক্রবার সকালে এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
টেকেরহাট (মাদারীপুর) : শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের পাঠককান্দি থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের ১৫ জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, প্রিন্টার ও ডিভাইসসহ প্রশ্নপত্র জব্দ করা হয়।
আটকরা হলেন- পলাশ মণ্ডল, মনতোষ সরকার, আকরাম হোসেন, অপূর্ব হাওলাদার, বিনয় ভক্ত, অনাদী বিশ্বাস, শশাঙ্ক বৈদ্য, তানভীর আহম্মেদ, মৃদুল হালাদার, আশিষ বালা, মৃত্যুঞ্জয় বালা, অলোক বালা, সন্তোষ হালদার, সুরঞ্জন পাণ্ডে, মকসেদুল আলম। মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল রয়েছে। চক্রের বাকি সদস্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বরগুনা ও বরগুনা দক্ষিণ : প্রশ্নপত্র ফাঁস ও উত্তর বিতরণ চক্রের মূল হোতা হুমায়ুন কবীরসহ চক্রের ১২ জনকে আটক ও বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম জব্দ করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুর ১টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানান পুলিশ সুপার বিজয় বসাক।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নাজমুন নাহার নাজমা, মারিয়া আক্তার, মো. ইউনুস মিয়া, মো. কবির হোসেন, মো. রেজাউল করিম, মো. আরেফিন, মো. আলী আকবর, সাকিবুর রহমান, হাসান মেহেদী, মাছুমা বেগম, মনিরা আক্তার। এদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ ও বরগুনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায়।
পুলিশ সুপার জানান, বৃহস্পতি ও শুক্রবার লঞ্চ, আবাসিক হোটেল ও পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে নগদ ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা, পরীক্ষার হলে উত্তর সরবরাহের জন্যে আধুনিক প্রযুক্তির ৭টি ডিভাইস ও ৫টি ক্ষুদ্র হিয়ারিং ডিভাইস, ২৩টি মোবাইল এবং ৬টি প্রবেশপত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
নড়াইল : পরীক্ষার হলে বিশেষ ডিভাইস নিয়ে প্রবেশের দায়ে বিভাষ বিশ্বাস নামে এক পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। দুপুরে তাকে সাংবাদিকদের সামনে আনা হয়। এ সময় নড়াইলের পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন জানান, আটক পরীক্ষার্থী নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। এ বিষয়ে তার সহযোগীকে আটকসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ই-বার্তা/ডেস্ক