মোদির শপথ অনুষ্ঠানে না গিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে মমতা
ই-বার্তা ডেস্ক।। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন ভারতের নরেন্দ্র মোদি। সন্ধ্যা ৭টায় রাইসিনা হিলসে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাকে শপথ পাঠ করান।
তার শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
তবে মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যাননি পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানর্জি। প্রথমে যাওয়ার কথা জানালেও পরে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি। এ নিয়ে জোর জল্পনা ও সমলোচনায় সরগরম হয়ে উঠেছে ভারতের রাজনীতির মাঠ। এবার সেই সমালোচনার আগুনে ঘি ঢাললেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
মেদিনীপুর থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘নির্বাচন চলাকালীন তৃণমূল কর্মীদের হাতে খুন হওয়া বিজেপি কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের চোখে চোখ রাখতে পারবেন না মমতা। সেই সাহস তার নেই। তাই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাননি তিনি। সংবাদমাধ্যমে প্রশ্নের উত্তর দিতেও ভয় পান মমতা। সেই খুনের বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি পাশ কেটে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারবেন না। সেই কারণেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেন না দিদি।’
মমতার সমালোচনায় সরব হয়েছেন শিবসেনাও। মোদির শপথ অনুষ্ঠানে মমতার অনুপস্থিতি বিষয়ে এনডিএর এই শরিক দল থেকে বলা হয়েছে, ‘নরেন্দ্র মোদি আবারও ক্ষমতায় গেলে দেশের গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে এমনটা বারবারই বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ মোদি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন এবং সাংবিধানিক রীতিনীতি মেনে শপথ গ্রহণ করছেন। এটাই মমতার সহ্য হয়নি। তিনি আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়েছেন।’
নির্বাচনের প্রচারণার মাঠে মোদি-মমতার কথার লড়াইয়ে সরব ছিল গোটা ভারত। তবে জয়ী হওয়ার পর মোদি ঘোষণা দেন নির্বাচনের মাঠে যা হয়েছে আমি সব ভুলে গেছি। আমাদের সবাইকে মিলেই এখন কাজ করতে হবে। মোদির ওই আহ্বানের প্রতি সৌজন্য দেখিয়ে ও রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতায় সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু পরে তা বাতিল করেন।
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু