আগামী সপ্তাহের শেষে কমে আসতে পারে পেঁয়াজের দাম

ই- বার্তা ডেস্ক।।   আগামী সপ্তাহের শেষে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে আসতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা। মুড়িকাটা নতুন পেঁয়াজ ওঠার প্রভাবও শিগগিরই বাজারে পড়তে শুরু করবে বলে ধারণা করছেন তারা।

তবে পেঁয়াজের বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসতে ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে, লাগামহীন পেঁয়াজের বাজার প্রতিদিনই ওঠা-নামা করছে। ভারত রফতানি বন্ধ করে দিলে দফায় দফায় বেড়ে পেঁয়াজের দাম সর্বোচ্চ ২৫০ টাকায় উঠেছিল। পরে তা কমে ২০০ টাকার নিচে নেমে এসেছিল। কিন্তু হঠাৎই তা আবার বাড়তে থাকে। বর্তমানে পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ ২১৫ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজ ২৪০ থেকে ২৫০ টাকার ঘরে। সরকারের নানা পদক্ষেপেও কমছে না পেঁয়াজের ঝাঁজ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পাকিস্তানি ১৮০ টাকা, চীনা ১৪০ টাকা ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। দেশি পেঁয়াজের দাম পাইকারি বাজারে ২০০ টাকায় স্থির থাকলেও অন্য সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। অর্থাৎ সরকারের কোন পদক্ষেপের প্রভাবই বাজারে পড়েনি।

দাম না কমার পেছনের কারণ হিসেবে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকার কারণেই বাজারে পেঁয়াজের দামের এই ঊর্ধ্বগতি। যে পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় সামান্য। সরকার সংশ্লিষ্টদের অনেকেই এই তথ্যকে সত্য বলে মনে করছেন। তবে বাজার বিশ্লেষকদের একটি পক্ষ বলছেন, আড়তদারদের কারসাজিতেই পেঁয়াজের দাম এতটা বেড়েছে।

পেঁয়াজের আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রতিদিন পেঁয়াজের যে চাহিদা- তুরস্ক, মিশর, মিয়ানমার ও পাকিস্তান থেকে বর্তমানে সেই পরিমাণ পেঁয়াজ আসছে না। চাহিদার চেয়ে সরবরাহ অনেক কম। আবার আমদানিকারকরাও তেমনভাবে পেঁয়াজ আমদানি করছে না। টিসিবি বা সরকার যদি সরাসরি পেঁয়াজ আমদানি করতো তাহলে হয়তো সংকট কিছুটা দূর হতো। তবে আগামী ১০ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।’