আদালতেও লড়ব, রাজপথেও লড়বঃ মওদুদ

ই- বার্তা ডেস্ক।।   বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মন্তব্য করেছেন যে, কেরানীগঞ্জে আদালত স্থাপন সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। আমরা মনে করি, সংবিধানে যে মৌলিক অধিকার একজন নাগরিককে দেয়া হয়েছে তা লঙ্ঘন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, খুব শিগগিরই সুপ্রিম কোর্টে এই কেরানীগঞ্জে আদালত স্থাপনার বৈধ্যতা নিয়ে আমরা চ্যালেঞ্জ করব। এটা করতেই থাকব। কারণ আমাদের অন্য কোনো উপায় নাই। আমরা লড়ে যাব। আদালতেও লড়ব, রাজপথেও লড়ব।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সু-চিকিৎসা, নিঃশর্ত মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে’ এই কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)।

ব্যারিস্টার  মওদুদ আহমদ বলেন, আমরা কেরানীগঞ্জ গিয়ে দেখে এসেছি। কী নির্জন একটা অবস্থান সেখানে। কেরানীগঞ্জ একটা উপজেলা। সেখানে কোনো সুযোগ-সুবিধা নাই। ন্যায় বিচার পাওয়ার মতো আদালতের যে পরিবেশ থাকার প্রয়োজন, সেই ধরনের কোনো পরিবেশ সেখানে নাই। বই-পুস্তক নাই, লাইব্রেরি নাই। সেখানে আইনজীবীদের যাওয়া আসা যে চরম দুর্ভোগ-এটা অবশ্যই বুঝতে পারছেন। ঘটনা ঘটবে এখানে কিন্তু সেখানে বিচার হবে। সাধারণ মানুষের কাছেও এটা অত্যন্ত সহজ যে, যেখানে ঘটনা ঘটে আইনে বলে সেখানে বিচার হতে হবে। কিন্তু কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে কেরানীগঞ্জে আদালত স্থাপন করা হয়েছে।

কেরানীগঞ্জে আদালত স্থাপনকে ‘ষড়যন্ত্র’ অভিহিত করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এখন পর্যন্ত মুক্তি পান নাই সরকারের বিভিন্ন কলাকৌশল ও বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কারণে। এখন নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে হাসপাতাল থেকে তাকে (খালেদা জিয়া) এখন কেরানীগঞ্জের কারাগারে নিয়ে যাওয়ার। কারণ সরকার চায় না খালেদা জিয়া মুক্ত হোক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ চায় বেগম জিয়া মুক্ত হোক। আজকে হোক না হয় কালকে হোক তিনি অবশ্যই মুক্ত হবেন। দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে।

ই- বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম