ইংরেজি বোঝেন না সিলেটের খেলোয়াড়রা: হার্শেল গিবস

ই-বার্তা ডেস।। বিপিএলে এবারই প্রথমবারের মত কোচ হয়ে এসেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান গ্রেট হার্শেল গিবস।

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সিলেট থান্ডারের কোচ হয়ে আসার পর সংবাদমাধ্যম থেকে একটু দূরেই ছিলেন হার্শেল গিবস। কিন্তু সিলেটে এসেই নিজের দল নিয়ে হতাশা প্রকাশ করলেন একসময়ের তুখোর এই ব্যাটসম্যান।

৮ ম্যাচে কেবল ১ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে তার দল। সাফল্য পাবে কী করে, ইংরেজির দুর্বলতায় গিবসের কথাই তো বুঝতে পারছেন না স্থানীয় ক্রিকেটাররা। কিন্তু না বুঝেও তারা না-কি মাথা নেড়ে বোঝার ভান করছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভাষার দূরত্ব ম্যাচ পরিস্থিতি বুঝতে না পারা প্রসঙ্গে গিবস বলেন, স্থানীয় ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে একটি বড় বাঁধা হলো, তাদের অনেকেই ইংরেজি বোঝে না। আমার জন্য তাই তাদেরকে অনেক কিছুই বোঝানো কঠিন। এটি খুবই হতাশার। আমি যখন কথা বলি, দেখি যে তারা শুনছে। কিন্তু দেখেই বুঝতে পারছি যে, এসব তাদের মাথায় ঢুকছে না। অনুধাবন করতে পারছে না।

এর মধ্যেই সিলেটের এক খেলোয়াড়কে যেন বুঝাতেই পারছেন না গিবস। ইংরেজি না পারার বাস্তবতা বলেই গিবস বলেন, সেদিন (খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে) রুবেল মিয়া ব্যাটিং ওপেন করেছে। এক পর্যায়ে তার রান ছিল ২৮ বলে ১৪। টাইম আউটের সময় আমি মাঠে গিয়ে তাকে বললাম, ‘হচ্ছেটা কী? ২৮ বলে ১৪ রান! সে শুনে কেবল মাথা নাড়ল। এটা তার দোষ নয়, কিন্তু বাস্তবতা।

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মানসিকতার অভাব দেখে গিবস জানান, ২০২০ সাল চলে এসেছে এখন। এখনও যদি একজন ব্যাটসম্যান বুঝতে না পারেন যে ২৮ বা ২৫ বলে ১৪ রান করলে আমাকে সেখান থেকে চালিয়ে যেতে হবে, পুষিয়ে দিতে হবে, তাহলে খুবই হতাশার। হতে পারে, আমি খুব বেশি প্রত্যাশা নিয়ে এখানে এসেছিলাম। হতে পারে, স্থানীয় ক্রিকেটারদের মানসিকতা নিয়ে একটু বেশিই আশা ছিল আমার। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ করছেন গিবসের স্বদেশি নীল ম্যাকেঞ্জি।

নীল কিভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সামলান সেটিই ভেবে পাচ্ছেন না গিবস, ‘আমি ঠিক নিশ্চিত নই, নীল ম্যাকেঞ্জি (বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ) যখন কথা বলে, ওরা কতজন ঠিকভাবে বুঝেত পারে। আমি তো তার মতোই দক্ষিণ আফ্রিকান, আমি ঠিক জানি না, সে যা বলতে চায়, তার সবটুকু ওদের কাছে বুঝিয়ে দিতে পারে কি-না।